খাস কলকাতায় অভিনব কায়দায় ATM লুঠ! ৯ দিনে গায়ের ৪০ লক্ষ টাকা

খাস কলকাতায় অভিনব কায়দায় ATM লুঠ! ৯ দিনে গায়ের ৪০ লক্ষ টাকা

কলকাতা:  দিল্লির পর কলকাতা৷ অভিনব কৌশলে লক্ষ লক্ষ টাকা জালিয়াতির অভিযোগ৷ এটিএম মেশিনের ভিতর যন্ত্র বসিয়ে ব্যাঙ্কের সার্ভারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে টাকা লুঠ করছে প্রতারকরা৷ গত ৯ দিনে কলকাতার বিভিন্ন এটিএম থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে ৩৯ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা৷ 

আরও পড়ুন-   ফুল চাষেও ক্ষতির আশঙ্কা! রাজ্যের কাছে সাহায্যের আবেদন ক্ষতিগ্রস্তদের

পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১৪ থেকে ২২ তারিখের মধ্যে নিউ মার্কেট, যাদবপুর ও কাশীপুর থানা এলাকায় বিভিন্ন এটিএম থেকে এই টাকা লুঠ করা হয়েছে৷ এটিএমগুলো কিন্তু একেবারে অক্ষত৷ একটা আঁচড়ও লাগেনি৷ কিন্তু মেশিনের ভিতর থেকে উধাও লক্ষ লক্ষ টাকা৷ এই ঘটনায় চক্ষু চড়কগাছ কর্তৃপক্ষের৷ কিন্তু কী ভাবে ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারে হানা দিচ্ছে প্রতারকরা? পুলিশ এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের জালিয়াতিতে ব্যবহার করা হচ্ছে ম্যান ইন দা মিডল অ্যাটাক পদ্ধতি৷ দুটি কম্পিউটারের মধ্যে যে যোগাযোগ ব্যবস্থা বা লিঙ্ক থাকে অন্য কম্পিউটারের সাহায্যে তার মধ্যে ঢুকে পড়াকেই ম্যান ইন দা মিডল অ্যাটাক বলা হয়৷ এটিএম-এর ভিতরে বিশেষ যন্ত্র বসিয়ে ব্যাঙ্কের সার্ভারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে৷ তখন ওই যন্ত্রটিই হয়ে উঠছে ব্যাঙ্কের হোস্ট৷ এই পদ্ধতিতে খুব সহজেই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জালিয়াতরা৷ উল্লেখ্য বিষয় হল, সেই মুহূর্তে ওই টাকা তোলার কথা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানতেই পারছে না৷ 

এটিএম মেশিনের উপর থেকে একটি তার বেরিয়ে থাকে৷ যাকে বলা হয় লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক৷ সেই লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের সঙ্গে ম্যান ইন দা মিডল অ্যাটাক ডিভাইস যুক্ত করা হচ্ছে৷ এর পর প্রতারকরা এটিএম কার্ড মেশিনে দিয়ে যে কোনও পিন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টাকা বেড়িয়ে আসছে৷ আর ব্যাঙ্ক সেটা জানতেও পারছে না৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই নিউ মার্কেট এলাকা থেকে ১৮ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, যাদবপুরের এটিএম থেকে ১৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, কাশীপুরের ব্যাঙ্ক থেকে ৭ লক্ষ টাকা পকেটে পুড়েছে প্রতারকরা৷ যাঁরা এটিএম সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে যুক্ত রয়েছে, তারাই এর পিছনে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ যারা জানে কী ভাবে এটিএম-এর হুড খোলা যায়৷ কী ভাবে ম্যান অফ দা মিডল অ্যাটাক যোগ করা যায়৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *