থানার মধ্যেই মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন কাউন্সিলর। অভিযোগ অস্বীকার অভিযুক্ত কাউন্সিলরের। চিকিৎসক অনিতা দাস মালদার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। অভিযোগ, ভাড়াটিয়া পীযূষ দাসকে উঠতে বলায় কাউন্সিলর অশোক সাহার অনুগামীরা তাঁর বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে। শুক্রবার সকালে আক্রান্ত মহিলা চিকিৎসক ও তাঁর স্বামী গাড়ি করে কাউন্সিলরের অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই সময় কাউন্সিলরের অনুগামীরা ফের তাঁদের হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েও হেনস্থার শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ ওই দম্পতির।
যদিও, কাউন্সিলরের অশোক সাহার পালটা অভিযোগ, ওই মহিলা চিকিৎসক বহিরাগতদের নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত অফিসে ভাঙচুর চালায়। এমনকী, তাঁকে শারীরিক ভাবে হেনস্থাও করা হয়। অনিতা দাস মানসিক ভাবে অসুস্থ বলে অভিযোগ অশোক সাহার। ঘটনায় কাউন্সিলরের পাশে দাঁড়িয়েছেন ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ। তাঁর দাবি, মহিলা চিকিৎসকের আনা অভিযোগ সঠিক নয়। আগেও তিনি এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই ধরনের মিথ্যে অভিযোগ করেছেন বলে মত নীহাররঞ্জন ঘোষের। শুধু তাই নয়, মহিলা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে জেলার পুলিস সুপার ও জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানাতে পারে পুরসভা। এদিকে, অভিযোগ জানানোর পরে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে, কেন অভিযোগকারিনীর বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।