কলকাতা: চ্যালেঞ্জের ভোটে মহিলাদের উপরেই ভরসা রাখছেন তৃণমূল নেত্রী, তাই লোকসভা নির্বাচনে তাঁর গোষিত প্রার্থী তালিকায় প্রায় ৪১ শতাংশই মহিলা। কেন্দ্রে বিজেপিকে ধরাশায়ী করতে একের পর এক মাস্টারস্ট্রোক নিয়ে চলেছেন তিনি, বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ করার যে কথা দিয়েছেন তা রাখতেই মহিলাদের উপরেই ভরসা করছেন সবতেকে বেশি। তাই পুরনোদের পাশাপাশি নতুন কয়েকজন মহিলাপ্রার্থীর নামও এদিন তালিকায় রাখলেন।
নতুনদের মধ্যে তালিকায় রয়েছেন টলি পাড়ার অভিনেত্রী নুসরত জাহান, ও মিমি চক্রবর্তী। এছাড়াও মালা রায়, মৌসম বেনজির নুর সবমিলিয়ে এবার তৃণমূলের মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১৭। এঁদের মধ্যে যাদবপুর থেকে মিমি, বসিরহাট থেকে নুসরত, কৃষ্ণনগর থেকে মহুয়া মৈত্র, রানাঘাট থেকে রুপালী বিশ্বাস, মালদহ উত্তর থেকে মৌসম বেনজির নুর, ঝাড়গ্রামে বীরবাহা সরেন, দক্ষিণ কলকাতায় মালা রায় প্রমুখ।
পুরনো দশজন মহিলা প্রার্থী হলেন জয়নগরের প্রতিমা মণ্ডল, বারাসতের কাকলি ঘোষ দস্তিদার, উলুবেড়িয়ার সাজদা আহমেদ, হুগলির রত্না দে নাগ, আরামবাগ থেকে অপরূপা পোদ্দার, বনগাঁ থেকে মমতাবালা ঠাকুর, বীরভূমে শতাব্দী রায়, বাঁকুড়া থেকে মুনমুন সেনকে সরিয়ে আসানসোলে আনা হয়েছে, বর্ধমান-দুর্গাপুরে রয়েছেন মমতাজ সঙ্ঘমিত্রা, বালুরঘাটে অর্পিতা ঘোষ।
বিজেপির ধর্মান্ধতা নিয়ে মমতার ক্ষোভের শেষ নেই। তাই দেশে বিজেপি বিরোধী শ্কতি জোরদার করতে তিনিই ফেডারেল ফ্রন্টের পালে লব থেকে বেশি হাওয়া দিয়েছেন। রাজ্যে গমতন্ত্ বিপন্ন যার দায়ে কেন্দ্রের এই অভিয়োগে প্রথমে কলকাতার মেট্রো চ্যানেল পরে দিল্লিতে তিনি ধরনায় বসেছেন। কুমারস্বামী থেকে শুরু করে চন্দ্রবাবু নায়ডু, কানিমোঝি, তেজ্স্বী যাদব, অখিলেশ কুমার সবাই একে একে তাঁকে সাপোর্ট করেছেন।
সারদা কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল নেত্রীকে চাপে ফেলতে গিয়ে নিজেরাই বিপাকে পড়ে যায় বিজেপি। রাফাল তদন্ত চাপা দিতেই নাকি পরিকল্পনা করে পুলওয়ামা হামলা ঘটানো হয়েছে। এই অভিযোগ নস্যাৎ করার আগেই বায়ুসেনার এয়ারস্ট্রাইক যা নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি খোদ শিবসেনাও তোপ দেগেছে। এরমধ্যে নির্বাচন কমিশন লোকসভার দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিল, মমতাকে তো পালটা ঘুঁটি সাজাতেই হবে তাইনা।