কলকাতা: সরাসরি কোনো ইঙ্গিত না মিললেও পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে এগিয়ে আসার কথা। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের তরফে কিছু না জানানো হলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এবং আসন্ন একাধিক বোর্ডের পরীক্ষার নির্ঘণ্টর হিসেব করে একটা ইঙ্গিত মিলছে যে বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতে চলেছে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য নির্ধারিত সময়ে বোর্ড পরীক্ষা, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক হচ্ছেনা চলতি বছর। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছেন যে সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হবে ৪ মে থেকে। অর্থাৎ সেই সময়ে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না কোনোভাবেই। অতএব বোঝা যাচ্ছে মে মাসের প্রথম সপ্তাহের আগেই নির্বাচন শেষ হয়ে যেতে পারে, এমনকি ফল ঘোষণাও। সেই প্রেক্ষিতে নির্বাচনের দিনক্ষণ মার্চ মাসের বদলে ফেব্রুয়ারি মাসেই ঘোষণা করে দিতে পারে নির্বাচন কমিশন। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার, কিছুদিন আগে নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে আর এক মাস বাদেই হয়তো নির্বাচন। সব মিলিয়ে একটা অস্পষ্ট ইঙ্গিত মিলছে যে বাংলার বিধানসভা নির্বাচন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে এগিয়ে আসতে চলেছে।
এদিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও একটা বড় ফ্যাক্টর। ইতিমধ্যে দেশে ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হয়ে যাবে কিছুদিনের মধ্যেই। পরবর্তী ক্ষেত্রে সংক্রমণ বাড়বে না কমবে সে ব্যাপারে এখনও স্পষ্ট ধারনা নেই কারোর। উল্টে বৃটেনের নতুন প্রজাতির কর্ণ ভাইরাস সংক্রমণ ভারতে ছড়িয়ে পড়ার একটা আশঙ্কা রয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে নির্বাচনে যত দেরি হবে ততো আশঙ্কা এবং চিন্তা বাড়বে নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে প্রশাসনের। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকতে থাকতে নির্বাচন করতে চাইবে নির্বাচন কমিশন। সব মিলিয়ে যদি ফেব্রুয়ারি মাসে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয় এবং মার্চের শেষ বা এপ্রিলের শুরুতেই নির্বাচন শুরু হয়ে যায় তাতে অবাক হবার থাকবে না। এদিকে, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইলেক্টোরাল রোল চূড়ান্ত করে ফেলার কথা কমিশনের।