কলকাতা: লকডাউনের জের এবার মহাসড়ক প্রকল্পেও৷ করোনা মহামারী এবং তার জেরে জারি হওয়া লক ডাউনের জেরে এরাজ্যে এশিয়ান হাইওয়ে টু-প্রকল্পের শেষ পর্যায়ের কাজ আটকে গিয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়পত্র দিলেও রাজ্য সরকার কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় কাজ থমকে আছে বলে অভিযোগ৷
সার্ক-ভুক্ত নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে ২০১৫ সালে ‘এশিয়ান হাইওয়ে’ তৈরির কাজ শুরু করেছে সরকার৷ সেই কাজ শেষের পথে৷ তবে জানা গেছে, এশিয়ান হাইওয়ে ২ প্রকল্পের অধীন ভারত-নেপাল সীমান্তে পানিট্যাঙ্কির কাছে মেচি নদীর ওপর বিকল্প সেতু নির্মাণের কাজ এখনো বাকি রয়েছে। দিল্লি সবুজ সংকেত দিলেও লোকডাউনের কারণ দেখিয়ে রাজ্য সরকার এখন কাজ শুরু করতে চাইছে না বলে বিরোধীদের অভিযোগ৷ জাতীয় সড়ক উন্নয়ন পর্ষদ অবিলম্বে নির্মাণ কাজ আরম্ভ করতে চাইলেও বাদ সেধেছে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন! তাদের বক্তব্য, করোনা মোহকমারীর জেরে দেশ জুড়ে লকডাউন চলছে৷ অত্যাবশ্যক পরিষেবা ছাড়া সব কাজ বন্ধ রয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে রাস্তার কাজ শুরু করতে গেলে নবান্নের বিশেষ অনুমোদন প্রয়োজন৷ এমত অবস্থায় কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক আপাতত জাতীয় সড়ক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছে বলে দাবি বিজেপির৷
দীর্ঘদিন ধরে এশিয়ান হাইওয়ে টু-এর এইটুকু কাজ বাকি থাকায় মহাসড়কের নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হচ্ছে না। বর্তমানে ছোট সেতু দিয়ে যান চলাচলে দুই প্রতিবেশী দেশের অসুবিধা হচ্ছে৷ দিল্লির এই মনোভাবে সেতুর কাজ নিয়ে চরম জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। শেষপর্যন্ত জেলা প্রশাসন নবান্নের দ্বারস্থ হয়েছে৷ পূর্ত (সড়ক) দপ্তর সূত্রের খবর, জটিলতা কাটাতে এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে৷ বিষয়টি মুখ্যসচিবকেও জানানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ বর্তমানে পানিট্যাঙ্কির কাছে মেচি নদীর ওপর যে সেতুটি রয়েছে, তা চওড়া নয়৷ ফলে যানবাহনের আসা-যাওয়ায় চরম অসুবিধা হচ্ছে দুই প্রতিবেশী দেশের৷ এশিয়ান হাইওয়ে টু-এর সঙ্গে যুক্ত এই সেতুর বিকল্প একটি সেতু নির্মাণের প্রাথমিক কাজও শুরু হয়। মাঝপথে এতদিন তা বন্ধ ছিল। বিকল্প সেতুটি ফোর লেনের হওয়ার কথা। দৈর্ঘ্যে যা ৬০০ মিটার। স্বল্পদৈর্ঘের এই সেতু নির্মাণ নিয়ে এত জটিলতা দেখা দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট মহল বিস্মিত।