সকালে মনোজ ধরলেন ঘাসফুল, বিকেলে পদ্ম হাতে দিন্দা!

সকালে মনোজ ধরলেন ঘাসফুল, বিকেলে পদ্ম হাতে দিন্দা!

কলকাতা: মনোজ তিওয়ারি এবং অশোক দিন্দাকে নিয়ে বিগত কয়েক দিন ধরেই জল্পনা তীব্র ছিল। খবর ছড়িয়ে ছিল একজন যোগ দিতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসে এবং অন্যজন বিজেপিতে। অবশেষে একই দিনে দুই জল্পনা সত্যি হয়ে গেল। সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন বাংলার ক্রিকেটের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা মনোজ তেওয়ারি, বিকেলে শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে বিজেপি শিবিরে নাম লেখালেন বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় খেলোয়াড় অশোক দিন্দা।

এদিন লেবুতলা পার্কের বিজেপি আয়োজিত একটি মিছিলের পর দলে যোগ দিলেন অশোক দিন্দা। বিজেপি শিবিরের নাম লিখিয়ে তার মুখে শোনা গেল জয় শ্রীরাম স্লোগান। একইসঙ্গে তিনি জানালেন, প্রত্যেকদিন ১২-১৪ ঘন্টা কাজ করবেন তিনি দলের হয়ে। দল যা বলবে তাই করবেন। প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতি করবেন বলেই ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন বলে এ দিন স্পষ্ট করেন অশোক দিন্দা। এদিন যে মঞ্চে তিনি দলে যোগ দেন সেই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে অর্জুন সিং, সব্যসাচী দত্ত এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। 

এদিকে এ দিন সকালেই ডানলপের সভা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের নাম লিখিয়েছেন মনোজ তিওয়ারি। যোগ দিয়ে তিনি বলেন, যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারতের জার্সি গায়ে একদিনের ম্যাচে শতরান করেছেন বা জয়ের শট মেরে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে প্রথম আইপিএল জিতিয়েছিলেন, তখন ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে দাবি করেন, তাঁর কাছে বিজেপির প্রস্তাব ছিল, কিন্তু তিনি তৃণমূল কংগ্রেসেই আসতে চেয়েছেন। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে শাসক দলের নাম লিখিয়ে রাজ চক্রবর্তী মন্তব্য করেন, তিনি এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে অনেক প্রচার করেছেন, তবে এবার তিনি সরাসরি দলের হয়ে মাঠে নেমে প্রচারে অংশ নেবেন। জুন মালিয়া বললেন, তিনি আজীবন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকবেন। অন্যদিকে অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক মন্তব্য করলেন, তিনি ১০ বছর ধরে দেখছিলেন বাংলার উন্নয়ন। ‌তাই এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত বাংলার সকল মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতিতে এলেন। পাশাপাশি তাদের মুখে শোনা গেল ‘খেলা হবে’ স্লোগান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *