কলকাতা: আবার কি শিলিগুড়িতে ‘গুরুশিষ্য’ লড়াই দেখা যাবে? স্পষ্টভাবে এর ইঙ্গিত না মিললেও অনুমান করা হচ্ছে এমনিই। কলকাতা পুরভোট মিটে যাওয়ার পরেই বাকেয়া পুরভোট নিয়ে উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে। বাকি ভোটের জন্য ইতিমধ্যেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বামেরা। আর দেখা গিয়েছে, শিলিগুড়ির পুরভোটে প্রার্থী হচ্ছেন অশোক ভট্টাচার্য। গতবারের জেতা ওয়ার্ড ৬ নম্বরেই তাঁকে প্রার্থী করেছে বাম। এখানেই মনে হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেখা যাবে একদা তাঁর ‘শিষ্য’ তথা শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।
চলতি বছরের বিধানসভা ভোটের আগে সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন শঙ্কর। তিনি জানিয়েছিলেন, দলে সঠিক সম্মান না পাওয়ার জন্যই তিনি দলবদল করেছিলেন। এদিকে, অশোক নিজে জানিয়েছিলেন যে, রাজনীতিতে কোনও গুরু বা শিষ্য হয় না। এতএব সেই সময় থেকে বোঝা গিয়েছিল যে দুজনের মধ্যের তিক্ততা কতদূর পৌঁছেছে। বিধানসভার পর আবার পুরভোটে তাই আবার তাদের দুজনকে সম্মুখসমরে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা তীব্র হচ্ছে। তবে বিধানসভার মত এই ভোটে অশোক ‘ফেল’ করবেন কিনা তা তো সময়ই বলবে। যদিও শঙ্কর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলছেন, শিলিগুড়িতে অশোক-মডেল কাজ করবে না।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই প্রাক্তন বিধায়ক তথা পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, পুরভোটে আর লড়তে চান না তিনি৷ এ বার বিধানসভা ভোটেও জিততে পারেননি৷ দলের হয়ে কাজ করলেও আগের মতো আর উদ্যোগ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তেও দেখা যাচ্ছে না তাঁকে৷ বয়সনীতির জেরে জেলা কমিটি থেকেও বাদ পড়েছেন৷ সম্প্রতি তাঁর স্ত্রীও প্রয়াত হয়েছেন৷ সব মিলিয়ে এ বার আর পুরভোটে লড়তে চাননি প্রাক্তন মেয়র৷ কিন্তু জানা গিয়েছে, স্বয়ং রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তাঁকে ফোন করে পরামর্শ দিয়েছেন শিলিগুড়িতে পুরভোটে নেতৃত্ব দিতে। শুধু দায়িত্ব নয়, দলকে জেতানোর কথাও বলেন তিনি৷ প্রসঙ্গত, জানা গিয়েছে শিলিগুড়ি পুরনিগম ভোটে তৃণমূলের মুখ হতে চলেছেন গৌতম দেব৷