কলকাতা: সম্ভাবনা অনেক আগে থেকেই তৈরি হয়েছিল। আজ সীলমোহর পড়ল। বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার হলেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের দ্বিতীয় দফার কৃষি মন্ত্রী ছিলেন। একই সঙ্গে টানা পাঁচ বারের বিধায়ক তিনি। এই বছরের কৃষি মন্ত্রী হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। তাই আগে থেকেই জল্পনা ছিল যে রামপুরহাটের এই প্রবীণ বিধায়ক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাবেন বিধানসভায়। অবশেষে হলও তাই। আজ বিধানসভার অধিবেশনের প্রথম দিন আনুষ্ঠানিকভাবে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পেলেন রাজ্যের প্রাক্তন কৃষি মন্ত্রী।
এদিন আবার বিধানসভা অধিবেশন শুরুর মুখেই ব্যাপক শোরগোল হয়। ৪ মিনিতেই ভাষণ শেষ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এদিকে, গোটা বিধানসভা ভরে যায় ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানে। বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সমস্ত বিজেপি বিধায়করা একজোটে স্লোগান দিতে থাকেন। সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিয়েই বেরিয়ে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এর আগে রাজভবনের পক্ষ থেকে বিধানসভার সচিবালয়ের কাছে অনুরোধ করা হয়েছিল, বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণ যেন বৈদ্যুতিন মাধ্যমে প্রচার করা হয়৷ কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এই বছর বৈদ্যুতিন মাধ্যমের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ ফলে এই বছর কোনও ভাবেই রাজ্যপালের ভাষণ সম্প্রচারিত হল না৷ এই নিয়েও ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন রাজ্যপাল, কড়া চিঠি লিখে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি লিখেছিলেন যে, এই ভাবে ভাষণ সম্প্রচার বন্ধ করা জরুরী অবস্থার শামিল! যদিও অবশেষে সেই কড়া চিঠিতে কোনও লাভ হয়নি।
আরও পড়ুন- বাইকে ‘আদি’ নামটা দেখেই বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠেছিল, বিবেকান্দের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ জামবনি
এই প্রেক্ষিতে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার যে ভাষণ খসড়া রাজ্যপালকে লিখে দিয়েছিল সেখানে ভোট পরবর্তী হিংসার কোন উল্লেখ নেই! শুভেন্দু জানান, রাজ্যপালের ভাষণে ভোট-পরবর্তী হিংসার কোন উল্লেখ করা নেই। উল্টে বলা হয়েছে, নির্বাচনের পর বাংলায় হিংসা হওয়ার যে দাবি করা হচ্ছে তা সর্বৈব মিথ্যা। এর পাশাপাশি ভাষণে আরও দাবি করা হয়েছে, নির্বাচনের আবহে রাজ্যে যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে তার দায় নির্বাচন কমিশনের। এমনকি নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজ্যে সন্ত্রাস থেকে শুরু করে ধর্ষণ এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি বলে উল্লেখ করা আছে।