স্কুলে আসতেই অন্তর্বাস খোলার নির্দেশ! শুনেই অজ্ঞান ছাত্রীরা, শোরগোল আসানসোলে

স্কুলে আসতেই অন্তর্বাস খোলার নির্দেশ! শুনেই অজ্ঞান ছাত্রীরা, শোরগোল আসানসোলে

কলকাতা: ড্রেস কোড নষ্ট হচ্ছে৷ খুলে ফেলতে হবে অন্তর্বাস৷ নির্দেশ শুনেই সংজ্ঞা হারালেন বেশ কয়েকজন ছাত্রী৷ বারাবনির ‘পুঁচরা ভগবান মহাবীর দিগম্বর জৈন সরাক উচ্চ বিদ্যালয়’ এর ঘটনায় শোরগোল আসানসোলে৷

আরও পড়ুন- মাধ্যমিকের সময় ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে? নয়া নির্দেশ আদালতের

অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই স্কার্টের নীচে রঙিন লেগিন্স এবং জামার ভিতর রঙিন গেঞ্জি পরে স্কুলে আসছিল পড়ুয়ারা৷ বার বার নিষেধ করার পরেও কথা শোনেনি ছাত্রীরা৷ অভিযোগ, এদিন স্কুলে আসতেই ছাত্রীদের লেগিন্স, ইনার খুলিয়ে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ এই অভিযোগ সামনে আসতেই উত্তাল হয়ে ওঠে বারাবনির স্কুল চত্বর৷ প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা৷ প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ উপাধ্যায়ের বদলির দাবিও তোলেন তাঁরা৷ যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক ও সহ শিক্ষকরা৷ তাঁদের বক্তব্য, ছাত্রীদের রঙিন লেগিন্স খুলে ফেলার কথা বলা হলেও তাদের ইনারগেঞ্জি খোলার কথা বলা হয়নি৷ 

এদিকে ছাত্রীদের বক্তব্য, কয়েকদিন ধরেই স্কুলের ছাত্রীদের বলা হচ্ছে, যারা যারা স্কুলে স্কার্টের নীচে রঙিন লেগিন্স পরে এসেছে, তারা যেন বাথরুমে গিয়ে সেটি খুলে ফেলে। বৃহস্পতিবার খবরটি জানাজানি হয়ে যায়৷ অভিভাবকরা দলে দলে স্কুলে আসতে শুরু করেন৷ শুরু হয় বিক্ষোভ। সেই সময় ছাত্রীরা কার্যত হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন। কেউ কেউ আবার অজ্ঞানও হয়ে পড়ে। এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে স্কুল চত্বর। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্কুলে পৌঁছয় বারাবনি থানার পুলিশ।  

ছাত্রীদের মায়েদের অভিযোগ, এই ঘটনা সম্পূর্ণ স্কুলের প্রধানশিক্ষকের নির্দেশে হয়েছে৷ তিনি এই লজ্জাজনক ঘটনা ঘটাচ্ছেন। অবিলম্বে তাঁকে স্কুল থেকে বরখাস্ত করতে হবে। অন্যদিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষিকাদের বক্তব্য, অভিভাবকরা স্কুলের ড্রেসকোডের নির্দেশনামার ভুল ব্যাখ্যা করছেন৷ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী স্কুলে শুধুমাত্র সাদা জামা আর নীল স্কার্ট অর্থাৎ স্কুল ড্রেস পরে আসতে হবে৷ শীতের সময়ে রঙিন লেগিন্স পরায় কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি৷ এখন গরমের পড়ে গিয়েছে। সেই কারণে লেগিন্স পরতে বারণ করা হয়েছে। তবে ইনার গেঞ্জি খোলানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে।