কলকাতা: এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি বিধানসভা নির্বাচনমুখী পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক সভা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, কলকাতায় তার সমাবেশের অনুমতি ‘অস্বীকার’ করার জন্য কলকাতা পুলিশ। পুলিশকে একহাত নিয়েছেন ওয়াইসি। আসাদউদ্দিন ওয়েইসি অভিযোগ করে বলেন, সংসদে গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা গণতন্ত্র নিয়ে জ্ঞান দেন। হায়দ্রাবাদের এই সাংসদ, যার দল পশ্চিমবঙ্গে
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তিনি দাবি করেছেন যে কোন কারণ ছাড়াই বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সভার অনুমতি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ওআইসি অভিযোগে বলেন, “আপনি (তৃণমূল কংগ্রেস সরকার) অমিত শাহকে জনসভা করার অনুমতি দেন। আপনি বিজেপিকে জনসভা করার অনুমতি দেন। কংগ্রেস ও বামেরা সভা করে। কিন্তু এমআইএম নয়। কেন?…।”
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সংসদে তৃণমূল সাংসদরা গণতন্ত্র এবং বাক স্বাধীনতার মতো শব্দ ব্যবহার করেন, কিন্তু তা পশ্চিমবঙ্গের ভূমিস্তরে তা প্রতিফলিত হয় না। তিনি আরও বলেন, এপ্রিল-মে মাসে নির্বাচনের আচরণবিধি কার্যকর হলে এআইএমআইএম ওই পুলিশ কর্তা (যিনি সভার অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছেন) তাকে পদে রাখার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে যেতে বাধ্য হবেন। তিনি যুক্তি দেখান, “যদি ওই কর্তা ওই পদে থাকেন, তাহলে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কলকাতার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মেটিয়াব্রুজ এলাকায় সভা করতে চেয়েছেন ওয়াইসি।
এ ভোটের ভাগ হবে না। পশ্চিমবঙ্গের ৩২ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক’কে সুরক্ষিত রাখতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কারণেই আসাদুদ্দিন ওয়াইসি’র এএইএমআইএম-কে দেখে যেন লাল-সংকেত দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কয়েক মাস আগে উত্তরবঙ্গে একটি সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়াইসিকে নিশানা বানিয়েছেন, সেই বিধানসভা কেন্দ্র কালিয়াগঞ্জে কিছু সংখ্যালঘু ভোট রয়েছে। শুধু তাই নয়, উত্তরবঙ্গেও রয়েছে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকের একটি বড় অংশ। মমতা কখনোই চাইবেন না, এই বিপুল ভোটব্যাংক, যা শেষ ৭-৮ বছর ধরে তাঁর দিকেই তাকিয়ে আছে, তা হঠাৎ দূরে সরে যাক – এমনটাই মনে করে রাজনৈতিক মহল।