কলকাতা: পদ্মশ্রী ফিরিয়েছেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। গতকাল এই খবর সামনে আসার পরেই হইহই শুরু হয়ে গিয়েছে। বাংলার শিল্পী মহল এই ইস্যুতে মুখ খুলেছে এবং একসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেছে। তাঁদের প্রত্যেকের বক্তব্য, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে অপমান ছাড়া আর কিছুই করা হয়নি। আজ প্রেস ক্লাবে এই ইস্যু নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে শিল্পী মহলের একাংশ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কবীর সুমন, শুভাপ্রসন্ন সহ প্রমুখরা।
আরও পড়ুন- ইন্ডিয়া গেটে বসছে নেতাজির বিশাল গ্রানাইট মূর্তি, টুইটে জানালেন নমো
সাংবাদিক বৈঠক করে এদিন শুভাপ্রসন্ন বলেন, আমাদের যে ক্ষোভ, যে দুঃখ, যে প্রতিবাদ আগে অনেক বার প্রতিবাদী হয়ে আপনাদের কাছে এসেছি। আজও আমাদের যে দুঃখ একজন প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব যার সুকণ্ঠ চিরকাল ধ্বনিত হবে, তাঁকে এই বয়সে সামান্য একটা পদ্মশ্রী দিয়ে প্রহসন করা হচ্ছে। কবির সুমন জানান, আমাদের জানার অধিকার কিসের ভিত্তিতে এই পুরস্কার। আমি নিজে শ্রেষ্ট পরিচালকের সম্মান পেয়েছি। ভারতরত্ন কারা পেয়েছেন? সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় একমাত্র গুলাম আলী খানের একমাত্র ছাত্রী। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান শুনে অনেকে বড় হওয়া শুরু করেছিল। এই রকম একটা মানুষকে ৯০ বছর বয়সে অপমান হতে হয়। লতা মঙ্গেশকর থেকে ভালো গায়ক ছিলেন গীতা দত্ত। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে বিদ্বেষ মূলক আচরণে পদ্মশ্রী দেওয়া হয়েছে।
আবুল বাশার বলেন, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় অনেক মহান সঙ্গীত শিল্পী ছিলেন। বাঙালি বলে কথাই একটা বিদ্বেষ রয়েছে সেটা আমরা অনুভব করি। আমরা কিন্তু অন্য ভাষাকে নিয়ে বিদ্বেষ করি না। কেন্দ্র সরকার এই ধরনের মানুষকে সম্মানিত করলে কেন্দ্র নিজে সম্মানিত হয়। এদের মুখোশ খুলে গেছে। বাঙালি দের অনুবদ্ধশিল স্বতন্ত্র ধারা তৈরি করলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। অন্যদিকে, জয় গোস্বামীর বার্তা, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে পদ্মশ্রী সম্মান দিয়ে তাঁর সম্মান হানি করা হয়েছে। কেন্দ্রের সরকারকে ধিক্কার জানাই।