দোরগোড়ায় দীপাবলি, নাওয়া খাওয়া ভুলে মাটির প্রদীপ তৈরিতে ব্যস্ত ওঁরা

দোরগোড়ায় দীপাবলি, নাওয়া খাওয়া ভুলে মাটির প্রদীপ তৈরিতে ব্যস্ত ওঁরা

ইংরেজবাজার: একমনে চাক ঘোরচ্ছিলেন বছর তেইশের প্রকাশ পাল। পড়াশোনা সামলে এই সময়টায় ফি বছর বাপ ঠাকুর্দার পেশায় সাহায্যের হাত বাড়াতে হয় তাকে। আবার পলি পাল, লিপি পালের মতো ঘরের মহিলারা বাড়ির কাজ সামলে নিয়ম করে এই সময়টা মাটি নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন।

পুরাতন মালদার বাচামারি পালপাড়া বা রসিলাদহ পালপাড়ায় গেলে এখন ধরা পড়বে ব্যস্ততার এমনই ছবি। কারিগররা বলছেন, যদিও দুর্গাপূজার পর দিনকয়েকের টানা বৃষ্টিতে কাজ বন্ধ হয়েছিল কুমোরপাড়ায়। তবে রোদের দেখা মিলতেই কুমোরপাড়া ফের চেনা ছন্দে। চিনা টুনি বাজারে থাবা বসিয়েছে অনেকটাই। তবে মানুষ এখন অনেক সচেতন বলেই চাহিদা বাড়ছে মাটির প্রদীপের৷ প্রদীপের পাশাপাশি চলছে ঘট, ধুনুচির মতো পুজোর উপকরণ তৈরির কাজও।

আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরেই আলোর উৎসব দীপাবলি। এই উৎসব নিয়ে ঘরে ঘরে কত না আয়োজন, কেউ মোমবাতি, কেউ প্রদীপ আবার কেউ টুনিলাইট কিনে রাখছেন এখন থেকেই। তবে আধুনিকতার দাপটে মাটির প্রদীপের গুরুত্ব অনেকটাই কমেছিল৷ তবে এবারে পরিস্থিতিটা একটু ভিন্ন৷ ভারত চিন সীমান্ত অঞ্চলের পরিস্থিতি খারাপের জন্য পড়শি চীনের সঙ্গে সু-সম্পর্ক নেই বললেই চলে। ফলে ভারতে বাতিল হয়েছে চিনা দ্রব্যের বিক্রি। তাই এবার দীপাবলিতে চিনা বাতির প্রভাব কিছুটা কমেছে৷ তার পরিবর্তে বাজারে চাহিদা মাটির প্রদীপের৷ তাই জোর কদমে প্রদীপ তৈরির কাজে নেমেছেন মৃৎশিল্পীরা।

তবে আক্ষেপ ঝরে পড়ে কারিগরদের কন্ঠে৷ তাঁদের কথায়, সরকারি তেমন কোন সাহায্যে নেই৷ ফলে আয় কম হলেও পেটের তাদিকে কাজ করে যাচ্ছেন। অর্থের অভাবে হাতে তৈরি করা যন্ত্রের সাহায্যে মাটির বাসন তৈরি করেছেন৷ কিন্তু তেমন মুনাফা লাভ করতে পারছেন না। এবিষয়ে সরকার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলে ভাল হয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *