অনলাইন ডেটিং সাইটে ছাত্রীর ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে গ্রেফতার

অনলাইন ডেটিং সাইটে ছাত্রীর ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে গ্রেফতার

 

কলকাতা: অনলাইন ডেটিং সাইটে মেডিকেলের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে গ্রেফতার এক। অভিযুক্ত সঞ্জয় বাল্লেরিকে গ্রেফতার করল লেকটাউন থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর লেকটাউন এলাকার বাসিন্দা মেডিক্যালের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী লেকটাউন থানায় অভিযোগ জানান, যে তার নামে কেউ বা কারা একটি অনলাইন ডেটিং সাইটে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছে এবং সেখান থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

এরপর থেকেই অভিযোগকারী ওই ছাত্রীকে রাতে বেশকিছু ব্যক্তি ফোন করে কটূক্তি করছে। সেই তদন্ত শুরু করে লেক টাউন থানার পুলিশের কাছে উঠে আসে এই সঞ্জয়ের নাম। এরপরই কর্ণাটক থেকে অভিযুক্ত সঞ্জয় বাল্লেরিকে গ্রেফতার করে লেকটাউন থানার পুলিশ। আজ অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পরবর্তী তদন্ত চালাবে। এই কাণ্ড ঘটানোর পিছনে কি কারণ রয়েছে খতিয়ে দেখছে লেকটাউন থানার পুলিশ।

অন্যদিকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভের ভুয়ো কল সেন্টার মামলায় গ্রেফতার মূল পান্ডা পঙ্কজ কুমার সিং। ধৃতকে আজ বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৯ অগাস্ট সল্টলেক সেক্টর ফাইভ এলাকার (ডিএন- ২৪) একটি অফিসে হানা দিয়ে এক ভুয়ো কল সেন্টারের হদিস মিলেছিল। তারপর থেকেই তদন্ত করছিল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।

ভুয়ো কল সেন্টারের মামলার  তদন্তে নেমে দুই মূল পান্ডা পঙ্কজ কুমার সিং এবং বৃজেশ কুমার সিংয়ের নাম উঠে আসে পুলিশের কাছে। গতকাল সল্টলেক থেকে চিৎপুরের বাসিন্দা পঙ্কজ কুমার সিং কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ তবে এই মামলায় আরও একজন মূল পান্ডা ব্রিজেস সিং এখনও পর্যন্ত পলাতক। এর আগে মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ৷ মূলত তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েই এই দুই মূল মাথার নাম উঠে আসে। তবে দুজনের মধ্যে একজন এখনও পলাতক। আজ ধৃত পঙ্কজ কুমার সিং কে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হবে এবং তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে গোটা বিষয়ে তদন্ত করবে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে আরও খবর, এই কল সেন্টারে মূলত ডাইরেক্টর হিসাবেই কাজ করত পঙ্কজ কুমার সিং। এই কল সেন্টার থেকে মূলত বিদেশি নাগরিকদের তথ্য জোগাড় করত এবং পরবর্তীকালে বিদেশি নাগরিকদের মেইল আইডি এবং ফোন নম্বরে মেসেজ পাঠানো হত  যে তারা ওয়েবসাইট থেকে কিছু জিনিস কিনেছিল, সেই কারণে তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কাটা হয়েছে৷ সেই টাকা কাটার যথাযথ কারণ জানতে চাইলে একটি ফোন নম্বর দেওয়া হত বিদেশি নাগরিকদের মেইল আইডিতে সেই ফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হত। এই নম্বরে যোগাযোগ করলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে তাদের থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত। এই ভাবেই চলত তাঁদের প্রতারণা চক্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × four =