বারাসত: লকডাউন ভেঙে বিয়ের আয়োজন করার অভিযোগে এবার নতুন বরকে গ্রেপ্তার করল শাসন থানার পুলিশ৷ যদিও পরে জামিনে মুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত অভিযুক্ত নতুন বর৷
জানা গিয়েছিল, লকডাউনের বিধি ভেঙে মঙ্গলবার দুপুরে বিয়ের আয়োজন করেন শাসনের টোনা গ্রামের বাসিন্দা এখলাজউদ্দিন৷ ছাদে ম্যারাপ বেঁধে বিয়ের মস্ত বড় আয়োজন করা হয়৷ বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হতে লম্বা লাইন পড়ে যায় মেয়ের বাড়ির সদস্য থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশীদের৷ লকডাউনের বিধি ভেঙে সকলেই হাজির হয়েছিলেন সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে৷ সামাজিক দূরত্ব তোয়াক্কা না করেই ঢাকঢোল পিটিয়ে বিয়ের আয়োজন সমাপ্ত হয়৷ কিন্তু লকডাউন বিধি ভেঙে কেন এই বিয়ের আয়োজন? প্রশ্ন তুলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ৷ পরে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয় পুলিশ৷
লকডাউনের জেরে গোটা দেশ ঘরবন্দি৷ ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন৷ তারপরেও জেনেশুনে শাসনের টোনা গ্রামে বিয়ের আয়োজন ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক৷ বিতর্কে লাগাম টানতে অভিযুক্ত নতুন বরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় তুলে নিয়ে যায় পুলিশ৷ পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ যদিও গ্রেপ্তার হওয়ার পরপরই জামিনে মুক্তি পেয়ে যান ওই যুবক৷ যদিও এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক যোগ দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, বৌভাতে শতাধিক আমন্ত্রিত ছিলেন৷ সেই আমন্ত্রিত তালিকায় ছিলেন শাসনের ফলতি বেলিয়াঘাটা পঞ্চায়েতের প্রধান নজিবুর রহমান ও তৃণমূলের স্থানীয় নেতা মেহেদী হাসান৷
যদিও পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন হওয়ার কথা শুনে তিনি সেখানে হাজির হয়েছিলেন৷ তবে তিনি নিমন্ত্রিত হিসেবে সেখানে যাননি৷ তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হিসেবে গিয়েছিলেন৷ তাঁদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী যখন সকলকেই ঘরে থাকতে বলছেন, জমায়েত এড়িয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন, তখন একজন পঞ্চায়েত প্রধান হয়ে তিনি কি করে তা অমান্য করলেন৷ অভিযুক্ত নতুন বর নিজেও তৃণমূলের স্থানীয় নেতা বলে জানা গিয়েছে৷