বর্ধমান: বোমা, পাইপগান, তরোয়াল, তীর ধুনক সহ ৪ বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করলো জামালপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব এই ঘটনায় পুলিশ ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে গাড়িতে করে ৬জন বিজেপি নেতা কর্মী গুড়াপ থেকে ধনিয়াখালি তারকেশ্বর – চুঁচুড়া রোডে যাওয়ার পথে জামালপুরের মহেশগড়িয়ায় দাঁড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ গাড়িতে তল্লাশি চালাতে গেলে দুজন পালিয়ে যায়। ৪ জন ধরা পরে।
ধৃতদের নাম বাপন মালিক, মহাদেব সোরেন ওরফে কালী, সুকুমার রায় ওরফে শুকো ও আশিস দাস। হুগলির ধনিয়াখালি থানার মাদপুরে সুকুমার রায়ের বাড়ি। বাকিদের বাড়ি ধনিয়াখালি থানার দশঘড়ার বিভিন্ন এলাকায়। আশিস দাস ধনিয়াখালির ২৯ নম্বর মণ্ডল সভাপতি। মহাদেব সোরেন দশঘড়া-২ মণ্ডলের সম্পাদক। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদের তল্লাশি চালিয়ে বাপনের কাছ থেকে একটি পাইপগান ও ৩টি গুলি এবং মহাদেবের কাছে থাকা নাইলনের থলি থেকে ৪টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। এছাড়াও ধৃতদের কাছ থেকে একটি তরোয়াল, একটি ধনুক ও কয়েকটি তিরও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান রাস্তায় ডাকাতির উদ্দেশ্যেই তারা জড়ো হয়েছিল।
ধৃতদের বুধবার বর্ধমান আদালতে তুলে বাকিদের হদিশ পেতে এবং আরও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য পুলিশ ধৃতদের ৭দিনের পুলিশী হেফাজতের আবেদন করেন। বিচারক দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর তাদের ৪দিনের পুলিশী হেফাজত মঞ্জুর করেন। এদিন এই ঘটনা সম্পর্কে বিজেপি নেতা সন্দীপ মুখার্জী বলেন, ধনিয়াখালির ২৯ জেড.পি বিজেপির সভাপতি আশিষ দাস সহ তিনজন সদস্যকে পুলিশ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেসের বি-টিম হয়ে কাজ করছে। অন্যদিকে, এদিন বর্ধমান আদালতে দাঁড়িয়ে আশীষ দাসের স্ত্রী জানিয়েছেন, আশীষবাবুকে দশঘড়ার তৃণমূল কংগ্রেস কিছুতেই সহ্য করতে পারছিল না। তাই তারা পরিকল্পনা করে মিথ্যা অভিযোগে আশীষবাবুকে ফাঁসিয়েছে।