কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় আদল বদলের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে সরকারিভাবে ঘোষণাও করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের ঘোষণায় জানা গিয়েছে, প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে কোনও ক্ষেত্রেই শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে থাকছে না ইন্টারভিউ। লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ করা হবে বলে রাজ্য সরকারের তরফে একটি ঘোষণাতে জানানো হয়েছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি এবিষয়ে নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। এনসিটিই-র নিয়ম মেনেই শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। তফসিলি জাতি ও উপজাতি প্রার্থীদের কোন ফি দিতে হবে না বলেও নির্দেশিকাতে জানানো হয়েছে। কোন পরীক্ষার্থী তার উত্তরপত্র চ্যালেঞ্জ করতে চাইলে তা তিন বছরের মধ্যে করতে হবে। তারপরে আর উত্তরপত্র চ্যালঞ্জ করা যাবে না। এছাড়াও টেট পরীক্ষায় ইংরেজি এবং মাতৃভাষার ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হবে বলে নির্দেশিকাতে জানানো হয়েছে।
স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ভুরি ভুরি অভিযোগ করেছে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, ইন্টারভিউয়ের সময় আসল জালিয়াতি হয়। ইন্টারভিউয়ের সময় পেনসিল দিয়ে এক নম্বর দেওয়া হয়। পরে তা মুছে ফেলে বাড়িয়ে দেওয়া হয়। নম্বর বেশি থাকার পরেও অনেকেই সুযোগ পান না। অনেকে আবার কম নম্বর নিয়ে স্কুলের চাকরি পেয়ে যান বলে পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। তবে নয়া নিয়মের জেরে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি অনেকটা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, শিক্ষক নিয়োগের দীর্ঘ প্রক্রিয়া একটু কমবে বলেও মনে করা হচ্ছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পুরো ভোটের পর দ্রুত গতিতে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।
আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তাকে সামনে রেখেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া ইন্টারভিউ তুলে দেওয়ার পর স্বজন পোষনের অভিযোগ অনেকটা কমবে বলেই রাজ্য সরকার আশা করছে। রাজ্য সরকার চাইছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগেই যেন শিক্ষক নিয়োগের কাজ শেষ হয়ে যায়। এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য সরকার লড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।