কলকাতা: করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রতিদিন সকালে আশাকর্মীদের ৩০ থেকে ৫০ টি বাড়ি ঘুরে নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। ১ হাজার জনকে নিয়ে তৈরি হয় একটা বুথ। ২টি বুথ নিয়ে তৈরি হয় একটা সেন্টার। প্রতিটি বুথের দায়িত্বে থাকেন একজন আশাকর্মী। বাড়ি তথ্য সংগ্রহ করে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ‘সন্ধানে’ অ্যাপের মাধ্যমে তা আশাকর্মীদের পৌঁছে দিতে হবে স্বাস্থ্য দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে।
একজন আশাকর্মী ইসমত আরা খাতুন জানিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকটা বাড়িতে গিয়ে ৯টি তথ্য সংগ্রহ করতে হচ্ছে–
১) কোনও সদস্যের সর্দি হয়েছে কিনা।
২) কাশি আছে কিনা।
৩) কয়েকদিনের মধ্যে জ্বর হয়েছে কিনা।
৪) কারোর শ্বাসকষ্ট আছে কিনা।
৫) কেউ অন্য কোনও অসুখে ভুগছেন কিনা।
৬) পরিবারের কেউ বিদেশ থেকে এসেছেন কিনা।
৭) রাজ্যের বাইরে থেকে কেউ এসেছেন কিনা।
৮) কোনও আত্মীয় বাড়িতে এসেছেন কিনা।
৯) পরিবারের সদস্যরা সম্প্রতি কোথাও কোনও অনু্ষ্ঠানে বা বেড়াতে গিয়েছিলেন কিনা।
প্রত্যেক পরিবারের এই সব তথ্য সন্ধান অ্যাপে দেওয়া ছক অনুযায়ী পূরণ করতে হবে আশাকর্মীদের। তারপর তথ্যপূর্ণ এই ছক পৌঁছে দিতে হবে প্রতিটি সেন্টারের দায়িত্বে থাকা অকসিলিয়ারি নার্সের হাতে। অকসিলিয়ারি নার্স সেই তথ্য পৌঁছে দেবেন ব্লক স্বাস্থ্য অধিকর্তার কাছে। তিনি এই সমস্ত তথ্য যাচাই করে জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য অধিকর্তার কাছে পৌঁছে দেবেন।
এই তথ্যগুলি থেকে কোনও জায়গায় করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছে কিনা সেটা এমন জানা যাবে। তেমনই কেউ বিদেশ থেকে বা ভীনরাজ্য থেকে এসেছেন কিনা সেটাও জানা যাবে। সম্প্রতি সংক্রমণ ঠেকাতে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য সন্ধানে অ্যাপ চালু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এই অ্যাপ আশাকর্মীদের মোবাইলে দেওয়ার আগে কীভাবে কাজ করতে হবে তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।
দিন দুয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আশাকর্মীদের হাতে এই অ্যাপ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অ্যাপের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আশাকর্মীরা তথ্য পাঠাবেন। এই তথ্য সরাসরি নবান্নের সার্ভারে পৌঁছে যাবে। খবর পাওয়া মাত্রই ওই এলাকায় চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাতে এলাকার মানুষ নিরাপদে থাকতে পারেন। করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়তে পারেন।