কলকাতা: আজ সকালে নারদ মামলায় ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর শহরে কার্যত হুলস্থূল পড়ে গিয়েছে। নিজাম প্যালেসের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী এবং সমর্থকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেখানে চলে যান এবং এই গ্রেফতারিকে বেআইনি বলে দাবি তোলেন যে তাঁকেও গ্রেফতার করতে হবে। অন্যদিকে রাজভবনের সামনেও বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়। তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করেছে, বাংলার নির্বাচনের ফল মানতে না পেরে প্রতিশোধ নিচ্ছে বিজেপি। নারদায় অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়দের কেন গ্রেফতার করা হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এদিকে এই একই প্রশ্ন তুলেছেন খোদ নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল। তবে এখন এই ম্যাথুর গ্রেফতারির দাবি তুললেন আরও এক নারদ অভিযুক্ত। আরামবাগের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অপরূপা পোদ্দার।
অপরূপা প্রশ্ন তোলেন, ম্যাথু স্যামুয়েলকে কেন ধরা হচ্ছে না? তিনি কোথা থেকে টাকা পেলেন? এটা তাঁকে কেন জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে না? এর পাশাপাশি তিনি বিজেপিকে একহাত নিয়ে বলেন, বাংলায় হারটাকে হজম করতে পারছে না বিজেপি, তাই এই মহামারির সময়েও করোনা নিয়ে কাজ করার বদলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নিয়ে এসব করছে। তিনি এও দাবি করেন যে, এইসব করে তৃণমূলকে ভয় দেখানো যাবে না। বাংলার মানুষ এর জবাব ঠিক দিয়ে দেবে। উল্লেখ্য, সিবিআই-এর এই পদক্ষেপের পরেই মুখ খুলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য৷ তাঁর কথায়, ‘‘করোনায় কাবু গোটা দেশ৷ সব জায়গায় মড়ক লেগেছে৷ এই পরিস্থিতি থেকে নজর ঘোরাতেই বাংলার নেতা মন্ত্রীদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন মোদী-শাহ৷’’
এদিন ফেসবুক লাইভে এসে আরও একবার কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধোনা করেন দেবাংশু৷ তিনি বলেন, ‘‘নারদ ফুটেজে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে যদি দেখা গিয়ে থাকে, তাহলে ওই ফুটেজে শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়, শঙ্কুদেব পণ্ডাকেও দেখা গিয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল তাঁদের গ্রেফতারের কোনও উদ্যোগ সিবিআই-এর তরফে দেখানো হল না৷ কেন? কারণ যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী বা বিধায়ক৷ আর যাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি তাঁরা হয় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা নয়তো বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি।’’