উধাও সোনার গহনা, ইমিটেশনেই সাজল কেষ্টর কালী

উধাও সোনার গহনা, ইমিটেশনেই সাজল কেষ্টর কালী

Imitation

বোলপুর: এক সময় তিনি ছিল বোলপুরের বেতাজ বাদশা৷ তাঁর নামে এক ঘাটে জল খেত বাঘে-গরুতে৷ তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কালী পুজোর চমকও ছিল চোখ ধাঁধানো৷ মাথা থেকে পা, সোনায় মোড়া থাকত মা কালীর অঙ্গ৷  মাথার মুকুট থেকে কান পাশা, নথ, মান্তাসা, নেকলেস, কী না ছিল সেই তালিকায়! মায়ের হাতের প্রতিটি আঙুলে শোভা পেল সোনার আংটি৷ পায়ের নূপুরও জ্বলজ্বল করত সোনালি আভায়। দেবীর হাতের পদ্মটিও ছিল সোনার। স্থানীয়রা অনেকে তো আবার কেষ্টর কালীকে সোনার কালী নমা নামেও ডাকতে শুরু করেছিলেন। দু’বছর আগেও এই দেবীর গয়নার পরিমাণ ছিল ৫৭০ ভরি। কিন্তু সে সব আজ অতীত৷ 

গরু পাচার মামলায় দীর্ঘ দিন জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল৷ তাঁর অনুপস্থিতিতে কমেছে মায়ের অঙ্গে সোনার জৌলুস৷ এই বছর বোলপুরের তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ের পুজোয় মাকে সাজানো হল ইমিটেশনের গয়নায়৷ হল শ্যামা মায়ের আরাধনা৷ জানা যাচ্ছে, যে গয়না পরিয়ে মায়ের পুজো হত, সেই গয়নার কোনও হদিশ কারও জানা নেই৷ কোথায় গেল গয়না? কেউ মুখ খুলতে নারাজ৷ তবে অনুব্রতর বাড়ির সামনের কেষ্টকালী নামে পরিচিত পুজোর জাঁকজমকে কোও খামতি দেখা গেল না৷ নিচুপট্টি বারিপুকুর সম্মিলনীর এবারের পুজোর দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ। তবে দুই পুজো দুই আঙ্গিকে হওয়ায় বোলপুরে শুরু হয়েছে জোর চর্চা৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 1 =