কলকাতা: বহিরাগত ইস্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূল সরকারের দিকে বারবার আক্রমণ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা অন্য রাজ্যের নেতাদের বহিরাগত বলে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস। সেই ইস্যুকে সামনে রেখেই রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। এদিন শহরে এসেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। কলকাতায় ‘ইকোনমিক রিজনস অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ নামক এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা, একইসঙ্গে অসুস্থ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য আসেন অনুরাগ। তবে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ তুলতে ভোলেননি তিনি। বহিরাগত ইস্যু নিয়ে রাজ্যের শাসক দল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন তিনি।
এদিন শহরে পা দিয়ে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, বাংলা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের রাজ্য। এখানে কেন্দ্রীয় নেতারা এলেই তাদের বহিরাগত বলে দেগে দেওয়া হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে এই অনুরাগ প্রশ্ন তোলেন, কেন্দ্রীয় নেতা বা মন্ত্রীরা যদি পশ্চিমবঙ্গে বহিরাগত হয় তবে অনুপ্রবেশকারীরা কি ঘরের লোক। অনুরাগের কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে বাংলায় হত্যা এবং অত্যাচার বেড়ে চলেছে। রাজ্যের সর্বত্র দুর্নীতি এবং দুর্নীতি। রোজভ্যালি থেকে শুরু করে নারদা, সব কেলেঙ্কারি দেখেছে বাংলা। অন্যদিকে কৃষকদের অবস্থার অবনতির জন্য দায়ী তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। একইভাবে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের মত ক্ষেত্রেও পিছিয়ে রয়েছে বাংলা। তাই চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে অনুরাগ বলেন, বাংলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির সরকার চাই, তাহলেই সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।
মূলত যে সভায় অংশগ্রহণ করতে আসেন অনুরাগ ঠাকুর সেই সভায় বক্তব্য রেখে তিনি মমতার সরকারকে তুলধোনা করেন। একইসঙ্গে জানান, আজ দেশে যত টুকু বিনিয়োগ হচ্ছে তার প্রধান কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে মানুষ বিশ্বাস করেন, তাঁকে দেখেই মানুষ ভোট দেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সদ্ব্যবহার রাজ্য সরকার করছেন না বলে অভিযোগ করেন অনুরাগ ঠাকুর। প্রসঙ্গত, ‘ইকোনমিক রিজনস অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ নামক এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত-সহ অন্য নেতারা।