anupam hazra
বোলপুর: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া ফলকে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম নেই। বরং আছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম। সেই ইস্যুতে প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে তৃণমূল। তবে ঘাসফুল একা নয়, বিজেপি একাংশও এই ইস্যুতে উপাচার্যকে নিশানা করেছে। আর বিজেপির প্রতিবাদী মুখ হলেন অনুপম হাজরা। তাঁকে আবার আজ তৃণমূলের ‘পাশে’ দেখা গেল।
শান্তিনিকেতনের কবিগুরু মার্কেটে ১২ দিন ধরে অবস্থান করছে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার সেখানেই আচমকা উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলতেও দেখা যায় তাঁকে। এছাড়া মঞ্চের সামনে রবীন্দ্রমূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। এরপর বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে নিশানা করে তিনি মন্তব্য করেন, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিজেকে বিজেপি প্রমাণ করার জন্য বারবার রবীন্দ্রনাথকে অপমান করেছেন। এর আগেও একাধিকবার বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে তোপ দেগেছেন অনুপম। তবে আজ তৃণমূলের ‘পাশে’ দাঁড়িয়ে তাঁর এই মন্তব্য শোরগোল বাড়িয়েছে।
এদিকে এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষও। তাঁর কথা অনুযায়ী, ফলক নিয়ে বিজেপির কিছু করার নেই তবে ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম থাকলে ভাল হত। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ফলক ইস্যুতে অন্য কথা বলেছেন। তাঁর বক্তব্য, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য প্রধানমন্ত্রী। আর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাই এমন ফলক বসেছে। কিন্তু বিশ্বভারতীর তো গোটাটাই জুড়ে আছেন কবিগুরু।