নিজস্ব সংবাদদাতা, সিউড়ি: করোনা হয়েছিল ওর, তাই এতদিন দেখা যায়নি৷ বীরভূম লোকসভায় এতদিন শতাব্দী রায়কে দেখতে না পাওয়া নিয়ে শনিবার এমনটাই বললেন অনুব্রত৷ শতাব্দি রায়কে নিয়ে জল্পনার অবসান হলেও ঘটনাক্রমে শনিবার অনুব্রত মণ্ডলের সভায় উঠে আসে শতাব্দি রায়ের প্রসঙ্গ। শনিবার রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকে অনুব্রত মণ্ডলের সভাশেষে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, অনেকেই বলছেন শতাব্দি রায়কে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না? যার উত্তরে অনুব্রত বলেন, ‘করোনা হয়েছিল ওই জন্যই আসতে পারেনি।’
এদিন প্রশ্ন ওঠে কিভাবে মান ভঞ্জন হলো শতাব্দীর? তার উত্তরে অনুব্রত বলেন, “এটা ওনার নিজস্ব ব্যাপার। পার্সোনালভাবে দেখা করেছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে। ওটা সম্পূর্ণ ওর আর দলের ব্যাপার।” রাজনৈতিক মহলের মতে অনুব্রতর নাম না করলেও তাকে নিয়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ বীরভূমের সাংসদ৷ এ প্রসঙ্গে অনুব্রত বলেন, “মিথ্যে কথা। এটা তো ওর লোকসভা। এটা তো ওর লোকসভার সিট। করোনা হয়েছিল ওই জন্য আসতে পারেনি।
পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডল এদিন এটাও জানিয়েছেন, “বিধানসভা ভোটে এটা তার লোকসভা সে ঘুরতেই পারে। অসিত মালকে কি কেউ ঘুরতে মানা করেছে নাকি। অসিত মাল কি করে আসছে। অসিত মাল কি করে আসছে।” শতাব্দি রায়কে কি বিধানসভা ভোটে প্রচারে নামাবেন? অনুব্রত বলেন, ‘এটা পরের কথা। নামতে চাইলে নিশ্চয়ই নামবে। ও এখনো বেরিয়ে যাই নাই। তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সাংসদ। তৃণমূল কংগ্রেসের একজন নেত্রী। তোমরা বললে তো আর বেরিয়ে যাবে না।’ একইসঙ্গে অনুব্রত বলেন, ওকে পার্লামেন্টে খুব দরকার। পার্লামেন্টটা খুব ভালো বোঝে। ওর সংসদের টাকা ওই খরচ করে। কেন অভিযোগ করছে জানিনা। ২৯ তারিখে মুখ্যমন্ত্রীর মিছিলে হাঁটলো কি করে।
সব প্রশ্ন উত্তরের পরেই ফের সেই কথা আওড়লেন অনুব্রত৷ বললেন, “নেতাদের কোন দাম নাই। দলের শেষ কথা কর্মীরা বলে৷ এদিন শতাব্দীর প্রসঙ্গে বেশি গভীরে না গিয়ে ওপর ওপরই মন্তব্য করেন কেষ্ট৷ যার জেরে তার সঙ্গে সাংসদের যে খুব একটা মধুর সম্পর্ক নেই তা স্পষ্ট বোঝা যায় অনুব্রতর কথায়৷