Aajbikel

বোলপুরের প্রতিটি মৌজায় মনীশ কোঠারির জমি! ৬ বছরে ১৫ কোটির মালিক কেষ্টর হিসাবরক্ষক

 | 
অনুব্রত মনীশ

বোলপুর:  ইডি হেফজতে নিজের জবানবন্দিতে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি বলেছিলেন, সবটাই মণীশ জানে৷ এদিক, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর কেষ্টর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন,  ‘‘আমার একমাত্র অপরাধ অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক হওয়া।’’ কিন্তু মণীশের যে অগাধ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তাতে চোখ কপালে উঠেছে ইডি-র৷ তাঁর বিপুল সম্পত্তি নিয়ে ধাঁধায় পড়েছেন তদন্তকারীরা। মনে করা হচ্ছে, গরু পাচারের অবৈধ টাকাতেই পাহাড়প্রমাণ সম্পত্তি কিনেছিলেন অনুব্রতর হিসাবরক্ষক। ইডি মনে করছে, মনীশ শুধু অনুব্রতের সম্পত্তির হিসাবই রাখেননি, তাঁর দাক্ষিণ্যে নিজের সম্পত্তিও গুছিয়ে নিয়েছিলেন। সবটাই অবৈধ ভাবে।

আরও পড়ুন- রাম মন্দিরের নির্মাণকাজের ছবি প্রকাশ্যে, উদ্বোধনের অপেক্ষায় ভক্তরা


ইডি সূত্রে খবর, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল, এই ৬ বছরের মধ্যে ফুলে ফেঁপে উঠেছিলেন কেষ্টর সিএ৷ বোলপুরে আনুমনিক ১৫ কোটি টাকার জমি কেনেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির হিসাবরক্ষক। ইডি সূত্রে খবর, রূপপুর মৌজা, গোপালনগর, কঙ্কালীতলা, দারোকানাথপুর, সুরুল-সহ বোলপুরের প্রায় প্রতিটি মৌজাতেই রয়েছে মণীশ কোঠারির জমি৷  যে সম্পত্তির আনুমানিক বাজারমূল্য ১৫ কোটি টাকা।

গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পর, তাঁর একের পর এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে ডেকে পাঠায় ইডি৷ সেই সূচ্রে তলব করা হয় মণীশকেও৷ টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূলের দাপুটে নেতার এই হিসাবরক্ষক৷ তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ আনে ইডি৷ সূত্রের খবর, ইডির আধিকারিকদের সামনে বেশ কিছু বিষয়ে অনুব্রতের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন মণীশ। অনেক তথ্য বেরিয়ে এসেছে তাঁর মুখ থেকে৷  এখন প্রশ্ন, শুধুই কি অনুব্রতের হিসাবরক্ষক হিসাবে কাজ করেই এই বিপুল টাকা উপার্জন করেছিলেন তিনি? না কি গরু পাচারের কালো টাকাও ঢুকেছিল তাঁর অ্যাকাউন্টে৷ মণীশও কি এই টাকার ভাগ পেয়েছিলেন? এখনও এই সব প্রশ্নের উত্তর অমিল৷ জবাব পেতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

Around The Web

Trending News

You May like