Aajbikel

পাচারের সেফ প্যাসেজ করতে কোন কোন অমলা-পুলিশকর্তাকে নির্দেশ দিতেন? মুখে কুলুপ কেষ্টর

 | 
অনুব্রত

কলকাতা: গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঠিকানা এখন দিল্লি। সেখানে ইডি-র হেফাজতে রয়েছেন বীরভূমের ‘বাঘ’। গরু পাচার মামলার রহস্য ভেদে তাঁকে লাগাতার জেরা করছেন ইডি-র দুঁদে গোয়েন্দারা৷ গরুপাচার চক্রেন কিংপিন এনামুল হককে পাচারের সেফ প্যাসেজ করে দিতে কোন কোন আমলা ও পুলিশ কর্তার উপর প্রভাব খাটিয়েছিলেন অনুব্রত? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। এই নিয়ে শনিবার কেষ্টকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ তবে তিনি জেরায় কোনও ভাবেই সহযোগিতা করছেন না বলেই অভিযোগ৷ বারবার প্রশ্ন করেও তদন্তকারীদের সামনে মুখ খোলেননি কেষ্ট৷ একটি শব্দও খরচ করেননি তিনি। কিন্তু, তাঁর সঙ্গে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের কথোপকথনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতেই থতমত খেয়ে যান তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা।

আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা, মুকুল রায়ের বিধায়কপদ খারিজের দাবিতে হাই কোর্টে গেলেন শুভেন্দু

ইডি জানতে পেরেছে, ঝাড়খণ্ড থেকে বীরভূমে আসা গরু সড়ক পথে চলে যেত মুর্শিদাবাদ এবং বাংলাদেশ সীমান্তে। এবং গোটা চক্রটি নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হত অনুব্রতর ‘বদান্যে’। কেষ্টর তদানীন্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের কল ডিটেইলস ঘেঁটে অফিসাররা তাঁর সঙ্গে এনামুলের যোগাযোগের প্রমাণ পেয়েছেন। সায়গল নিজেও ইডির কাছে ফোনালাপের বিষয়টি স্বীকার করে নেন। তদন্তকারী অফিসারদের তিনি এও জানান, তাঁর ফোন থেকে অনুব্রত কথা বলতেন গরু পাচারের মূল হোতা এনামূলের সঙ্গে। এনামুল যাতে নির্বিঘ্নে গরু পাচার করতে পারেন, সেজন্য প্রশাসন ও পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হত। নিজের পদের অপব্যবহার করে নানা ভাবে ওই সমস্ত আমলাদের উপর প্রভাব খাটাতেন কেষ্ট। কখনও যদি এনামুলের চাপার করা গরু বোঝাই লরি ধরা পড়ে যেত, সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনিক কর্তা বা পুলিশর আধিকারিককে ফোন করে গাড়ি পাস করানোর ব্যবস্থা করে দিতেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি।

কিন্তু এই কর্তারা কারা? তাঁদের নামও পেয়ে গিয়েছেন অফিসাররা। সায়গলের থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই করতে অনুব্রতকে প্রশ্ন করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্নের জবাবে মুখই খোলেননি অনুব্রত৷ কেষ্ট উত্তর না দিলেও তিনি কি ধরনের প্রভাব খাটাতেন, তা জানতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তাদের ডাকা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর৷ 

Around The Web

Trending News

You May like