রাতারাতি ডিগবাজি! ‘অপদার্থ’ মন্ত্রীকেই প্রার্থী বলে ঘোষণা অনুব্রতর

রাতারাতি ডিগবাজি! ‘অপদার্থ’ মন্ত্রীকেই প্রার্থী বলে ঘোষণা অনুব্রতর

বীরভূম: দিন পেরোতেই ডিগবাজি। মাত্র একদিন আগেই কৃষিমন্ত্রীকে অপদার্থ বলে তিরস্কার করেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার বীরভূমের রামপুরহাট কিষাণ মান্ডিতে প্রকাশ্য কর্মিসভায় বিরক্ত অনুব্রত মণ্ডল দাগিয়ে দেন আশিস ব্যানার্জি অপদার্থ। বেজায় অস্বস্তিতে পড়েন কৃষিবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। 

বারবার এদিন জেলা সভাপতিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন আশিস ব্যানার্জি। কিন্তু ক্ষিপ্ত অনুব্রত কোনও কথাই শুনতে চাননি। বারবার নিজের বক্তব্যে জেলা নেতৃত্বকে নিশানা করতে থাকেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। এমনকি পঞ্চায়েতের টাকা বন্টন নিয়েও তিনি মন্ত্রীকে বেঁধেন। কিন্তু দিন কাটতেই সেই অপদার্থ মন্ত্রীই পদার্থ হয়ে একেবারে ভালবাসার যোগ্যতা অর্জন করলেন। প্রকাশ্য কর্মিসভায় তাঁর কথায় অপদার্থ আশিস ব্যানার্জিই প্রার্থী হয়ে উঠলেন।
 

বারবার কর্মিসভা বিতর্কে জড়িয়েছেন অনুব্রত। বীরভূমে তাঁর কর্মিসভাগুলি রীতিমত বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থেকেছে। বিধানসভা ভোটে জয়ের লক্ষ্যে বুথভিত্তিক এই সভাগুলিতে বুথ সভাপতিদের কাছ থেকে রিপোর্ট নেন অনুব্রথ। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে একের পর এক কর্মিসভা থেকে অনুন্নয়ন এবং না পাওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন বুথ সভাপতিরা। রাস্তা, পানীয় জল তথা এলাকাভিত্তিক উন্নয়ন নিয়ে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন দলের নেতা কর্মীরা।

প্রথম দিকে তাদের চেপে দেওয়ার চেষ্টা করলেও পরের দিকে কেউই মুখ বন্ধ রাখেননি। সরাসরি জানাচ্ছিলেন ভোট চাওয়ার মুখ নেই। ফলে ক্রমেই বিরক্তির পারদ চড়তে থাকে মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহধন্য কেষ্টর। বিরক্তির শেষ সীমা ছাড়ায় শুক্রবার। এক মহিলা সরাসরি তাকে চার্জ করেন তাঁর সঙ্গে এলাকা গিয়ে উন্নয়ন দেখতে। আর তারপর আরেকটি ক্ষোভের কথা উঠতেই তিনি ফেটে পড়েন।

কিন্তু কথা বেরনোর পরই বুঝে ফেলেন বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে। ফলে ধামাচাপা দিতে নিজের স্বভাবসিদ্ধ উঁচুতারের বদলে  অনেক নীচুতারে শনিবারের সভা পরিচালনা করেন অনুব্রত। একদিন আগের অপদার্থ আশিস ব্যানার্জিকে প্রায় কোলে টেনে নেওয়ার ভঙ্গীতে ভালবাসার কথা শোনালেন কর্মীদের মুখ দিয়ে। বারবার বলতে লাগলেন, মমতা ব্যানার্জির প্রার্থী আশিস ব্যানার্জি। ঝানু রাজনীতিবিদ এসব করে একদিকে নিজের দোষ ঢাকার সঙ্গে সঙ্গে আশিস ব্যানার্জির পদার্থতা প্রমাণ করতে চাইলেন কী? রাজনৈতিক মহলের ধারণা অন্তত তাই। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + fourteen =