কলকাতা: গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার ৫৭ দিনের মাথায় আদালতে চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। গত কয়েক দিন ধরে তদন্ত চালিয়ে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে৷ পাশাপাশি অনুব্রতকে জেরা করে যা যা জানা গিয়েছে, সেই সকল তথ্যের উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। সূত্রের খবর, মোট ৯৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে৷ তার ওপর ভিত্তি করেই এই চার্জশিট তৈরি করেছে সিবিআই৷
আরও পড়ুন- প্রশাসন বিরোধী কাজ করবেন না কেউ, একদিনের জন্য ধর্না প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত
সূত্রে খবর, ওই চার্জশিটে অনুব্রতকে গরু পাচার চক্রের ‘মূল পৃষ্ঠপোষক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কী ভাবে গরু পাচারকারীদের অনুব্রত রাজনৈতিক রক্ষাকবচ দিতেন, তা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। অনুব্রতর ছত্রছায়াতেই বীরভূম জুড়ে চলছিল পাচার চক্রের রমরমা৷ চার্জশিটে সে কথা জানিয়েছে সিবিআই৷
সেখানে আরও বলা হয়েছে, সায়গল হোসেনের মাধ্যমেই পাচারের টাকা অনুব্রত মণ্ডলের কাছে পৌঁছত। পাশাপাশি অনুব্রতর বিপুল সম্পত্তির কথাও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৮ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট সহ ৫৩ টি দলিলের উল্লেখ করেছে সিবিআই। এছাড়াও চার্জশিটে প্রায় ২৫ টি বেনামি দলিলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সিবিআই দাবি করছে, অনুব্রত তো বটেই, তাঁর পরিবারের সদস্যদের মিলিত সম্পত্তি এটি। কী ভাবে তৃণমূল নেতা এত সম্পত্তির মালিক হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আয়ের সঙ্গে যে এই সম্পত্তির কোনও সঙ্গতীই নেই, সে কথাও ও যে সঙ্গতি নেই, সেই উল্লেখও করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে৷
এর আগে গরু পাচার মামলায় যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল, সেখানে সায়গল হোসেনের সঙ্গে অনুব্রত নামও উল্লেখ করা হয়েছিল। এই মামলায় মূল অভিযুক্ত এনামুল হোসেন গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁকে জেরা করে সিবিআই জানতে পেরেছিল, সায়গল হোসেনের মাধ্যমে গরু পাচারের টাকা যেত অনুব্রতর হাতে।