বোলপুর: কিছুদিন আগেই বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কেষ্টর ভূয়শী প্রশংসা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, কেষ্ট শুধু ঝগড়া নয়, উন্নয়নটা ভালো বোঝে। আজ বোলপুরে পথসভা এবং মিছিল করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পাশে পাশে দেখা গেল না অনুব্রত মণ্ডলকে! এই নিয়ে ইতিমধ্যেই কটাক্ষ শুরু করেছে বিরোধীরা।
এদিন বোলপুরে তৃণমূল কংগ্রেস যে রাজনৈতিক মিছিল এবং সভা করে সেখানে তাঁর পাশে পাশে দেখা গিয়েছে বীরভূমের সাংসদ শতাবদিরায় থেকে শুরু করে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে। কিন্তু মিছিল হোক কিংবা সভা মঞ্চ, মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দেখা যায়নি অনুব্রত মণ্ডলকে। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনে বোঝা গিয়েছে তিনি মঞ্চের সামনে বসেছিলেন। কিন্তু কেন অনুব্রত মণ্ডল এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে পাশে ছিলেন না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তবে এখানে কোনো দলবদলের জল্পনা বা বিতর্ক নেই, বরং কটাক্ষ রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, ‘দিদির’ মত অত জোরে হাঁটতে পারবেন না অনুব্রত, তাই তিনি তাঁর সঙ্গে ছিলেন না। তবে সভামঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে কেন বীরভূমের কেষ্টকে দেখা গেল না, তা এখনো জল্পনাই।
প্রসঙ্গত বীরভূমের প্রশাসনিক সভা করে সম্প্রতি জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের প্রশংসা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে অবশ্য একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল দুইজনকে। সেদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেষ্ট উন্নয়নটা ভালো বোঝে৷ দুবরাজপুর, সাঁইথিয়ার বিধায়করাও জানান যে, তাঁদের যাবতীয় সমস্যার কথা অনুব্রত মণ্ডলকে বললে সমাধান হয়ে যায়। গোটা জেলার খোঁজখবর রাখেন তিনি। মুরারইয়ের বিধায়ক এদিন একটি বাইপাস রাস্তা করার আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তখন অনুব্রত সঙ্গে সঙ্গেই জানিয়ে দেন পিডব্লুউডি সার্ভে করে ফেলেছে। এরপরই কেষ্টর প্রশংসা করেন মমতা বলেন, ‘কেষ্ট সব জানে। যারা বলে কেষ্ট শুধু ঝগড়া করে, তারা জানে না ডেভেলপমেন্টের কাজটা ভালো বোঝে সবার থেকে।’