কলকাতা: সরাসরি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, ‘না’ বলে দিয়েছিলেন তাঁকে। শুধু তাই নয়, প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেস দলও ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল! সম্প্রতি অতীতের একটা ঘটনার স্মৃতিচারণ করে এমনটাই জানিয়েছেন ঘাসফুলের ‘কেষ্ট’। যদিও সেই সময় কোনও দলবদল বা অন্য কোনও ইস্যু ছিল না। আসলে রাজ্যসভার সাংসদ হতে চাননি তিনি।
আজ দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার লাগোয়া পলাশডিহায় স্থানীয় একটি ক্লাব আয়োজিত ‘আদিবাসী মিলনমেলা’র সূচনা করেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখানে নিজের রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, এক সময় খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তা ফিরিয়ে দিয়ে তৃণমূল দলটাই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন! অনুব্রত জানিয়েছেন, তিনি সাংসদ হতে চাননি, মানুষের সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন। বরং তিনি বিধায়ক বা কাউন্সিলর কিছুই হতে চান না। তাঁর কথায়, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন সৈনিক, তিনি তাঁকে যা বলেন, সেটাই তিনি করেন এবং করে যাবেন। মানুষের পাশে থাকার জন্যই তাঁর কোনও ‘পদে’ যেতে অনাগ্রহ বলেই জানিয়েছেন ‘কেষ্টদা’।
এদিকে, আজ অনুব্রত এই মেলায় যোগ দেওয়ার কারণ হিসেবে আদিবাসী নেতা সুনীল সোরেনের কথা বলেছেন। আসলে ডেউচা পাচামিতে আদিবাসিরা সরকারের প্যাকেজ নিতে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তাই সেখানের নেতা সুনীলকে দলে টেনে ডেউচা পাচামিতেই তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এখন এই ডেউচা পাচামি নিয়ে যত বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। আদিবাসীদের একাংশ চান না সেখানে কয়লা খনি হোক। মোড়লদের তরফে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে যে তারা এখানে কয়লা খনি চান না। একই সঙ্গে এও জানানো হয়েছে যে তারা গণ আন্দোলনের চেষ্টা করছেন যাতে এখানে কয়লা খনি না করা হয়। তাদের মূল অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। তারা জানাচ্ছে, এখানকার সাধারণ মানুষ কী চাইছে তা জানার চেষ্টা করেনি রাজ্য সরকার।