কাটোয়া: শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর তৃণমূল কংগগ্রেসের অস্বস্তি চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছেছে। এদিকে রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এবং বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়েও বিতর্ক। সব মিলিয়ে রাজ্যের শাসকদলের অস্বস্তির শেষ নেই। সম্প্রতি একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেন মঙ্গলকোটের বিধায়ক এবং রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তবে তার অভিযোগ প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল স্পষ্ট দাবি করেছেন, সব বাজে কথা, মিথ্যে কথা বলা হচ্ছে।
বালির অবৈধ কারবার, গাঁজা কেসে ফাঁসানো সমেত একাধিক বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। এমনকি সম্প্রতি তিনি এও বলেছিলেন, মঙ্গলকোটে তিনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান, অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ অনুসারে নয়। সব মিলিয়ে এখন যেন অনুব্রত এবং সিদ্দিকুল্লা সম্মুখ সমরে। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী যে অভিযোগ এনেছেন তার প্রেক্ষিতে মন্তব্য করতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, তৃণমূল আদর্শ দল। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চায়, চলতে চায়। যা বলা হচ্ছে সব মিথ্যে কথা, একেবারে বাজে কথা। অভিযোগের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন অনুব্রত। বীরভূম জেলা সভাপতির এই মন্তব্যের পরে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল যেন আরও প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
অন্যদিকে, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর তাঁর নির্দেশ অনুসারে কাজ না করার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, এ ব্যাপারে তার কোনো আগ্রহ নেই। কারণ কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট সব জায়গাতেই সংগঠনের কাজ খুব ভালোভাবে চলছে বলে দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে মঙ্গলকোটের সিদ্দিকুল্লা প্রতিদ্বন্দিতা করবেন কিনা তার জবাবে অনুব্রত বলেন, সব কিছু ঠিক করবেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এই নিয়ে তিনি কিছুই বলতে পারেন না বলে মত তৃণমূলের কেষ্টর। তবে একটা বিষয় তিনি দাবি করেছেন, প্রার্থী সিদ্দিকুল্লা হোক কি অন্য কেউ, কমপক্ষে ৩৫,০০০ ভোটে জয়লাভ করবে।