পুরি-সব্জি দিয়ে প্রাতরাশ, রাতে বেগুনপোড়া, থানার খাটে ‘নিশ্চিন্তে’ ঘুম কেষ্টর

পুরি-সব্জি দিয়ে প্রাতরাশ, রাতে বেগুনপোড়া, থানার খাটে ‘নিশ্চিন্তে’ ঘুম কেষ্টর

দুবরাজ: এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের চেষ্টার মামলায় তাঁকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে দুরবারপুর আদালত৷ পশ্চিম বর্ধমানে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি ফিরেছেন নিজের জেলায়৷ আর সেখানে ফিরতেই স্বমহিমায় অনুব্রত মণ্ডল। মঙ্গলবার তাঁর রাত কাটে দুবরাজপুর থানায়। সেখানে তাঁর জন্য ছিল বিশেষ বন্দোবস্ত৷ থানারই একটি ঘরে দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই নেতার জন্য পাতা হয়েছিল খাট৷ রাতে সেখানে আরাম করে ঘুমান কেষ্ট৷ সকালে উঠে পুরি-সবজি দিয়ে সারেন প্রাতরাশ৷

আরও পড়ুন- উর্ধ্বমুখী তাপমাত্রার পারদ, বড়দিনে শহরে শীতের দেখা মিলবে? কী বলছে হাওয়া অফিস

আদালতের নির্দেশে আপাতত সাত দিন দুবরাজপুর থানায় পুলিশের হেফাজতে থাকতে হবে অনুব্রতকে। মঙ্গলবার দুপুরের পর থানায় নিয়ে আসা হয় তাঁকে৷ সেখানে আসার পরই চপ-মুড়ি দিয়ে বিকেলের জলখাবার সারেন। অনুব্রত দুবরাজ থানায় রাত্রিবাস কতে পারেন সে কথা আগাম আঁচ করেই একটি ঘরে তাঁর থাকার বন্দোবস্ত করে রাখা হয়েছিল। অব্যবহৃত একটি ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সেখনে খাট পেতে পরিপাটি করে বিছানা করে রাখা হয়। সেই খাটে শুয়েই পুলিশি হেফাজতে প্রথম রাত কাটল অনুব্রতের। তবে ঘরে একটি সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। যাতে কেষ্টর গতিবিধির উপর নজর রাখা যায়৷ 

মঙ্গলবার রাতেও অনুব্রতর বিশেষ আয়োজন করা হয়েছিল৷ তাঁকে দেওয়া হয় তিনটি আটার রুটি, বেগুনপোড়া এবং ডাল। পুলিশ সূত্রে খবর, অনুব্রত বেগুনপোড়া এবং ডাল দিয়ে মাত্র একটি রুটিই খেয়েছেন৷ তবে তা তৃপ্তি করে৷ তার পরই নতুন পাতা চকচকে বিছানায় শুয়ে নাক ডাকিয়ে ঘুম। সকাল সকাল উঠে চোখ-মুখ ধুয়ে চা আর বিস্কুট খান। প্রাতরাশ তাঁর জন্য আসে পুরি আর সব্জি৷ 

এদিকে, নেতা জেলায় ফিরতেই তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের দেখা করার হিড়িক৷ তবে তাঁর ধারে কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না কাউকে৷