কলকাতা: দলনেত্রী তাঁকে বীরের মতো সম্মান দিতে চান৷ এই কথা শোনার পর আরও আত্মবিশ্বাসী গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডল৷ শুক্রবার সেটা তাঁর হাবভাবেই বোঝা গেল। এদিন সকালে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই ‘আগের কেষ্ট’৷ রীতিমতো খোশমেজাজ৷ আত্মবিশ্বাসের সুরে বললেন, ‘‘নিশ্চয়ই ছাড়া পাব।
আরও পড়ুন- ২০০-র ওপরই রয়েছে বঙ্গের গ্রাফ, মৃত্যু কমল আজ
আগের দিন নিজাম প্যালেস থেকে আসানসোল যাওয়ার পথে ব্রেক ফাস্ট সেরেছিলেন শক্তিগড়ে। তাঁকে নিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা ঢুকেছিলেন বিখ্যাত ল্যাংচার দোকানে৷ এদিনও আসানসোল থেকে কলকাতায় আসার পথে তাঁর গাড়ি দাঁড়াল সেই শক্তিগড়ে। তবে এদিন আর গাড়ি থেকে নামেননি অনুব্রত৷ গাড়িতেই বসেছিলেন। সেখানেই তাঁর জন্য চলে আসে পুরি,সবজি। গাড়ির কাচ নামিয়ে হাত বাড়িয়ে খাবার নেওয়ার সময়ে ফের তাঁকে নানা প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। সেই সময় কেষ্ট বললেন, “আমি চোর না ডাকাত, যে আটবে রাখবে আমাকে…” এমপিএমএলএ আদালতে পেশ করার আগে তিনি কিন্তু কনফিডেন্ট। ‘দিদি’ পাশে দাঁড়ানোর পর তাঁর আত্মবিশ্বাস যে আকাশ ছুঁয়েছে, তা তাঁর শরীরী ভাষাতেই স্পষ্ট।
মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় এদিন বিধাননগরে এমপি-এমএলএ আদালতে পেশ করা হবে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে৷ তাই সাতসকালেই আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন তিনি৷ জেল থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন কেষ্ট। এদিকে, বৃহস্পতিবারই নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের বিশেষ সমাবেশে স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বলেছেন, ‘‘বীরের সম্মান দিয়ে ওঁকে (অনুব্রত) জেল থেকে বার করে আনবেন।’’ মমতার সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শুক্রবার অনুব্রতকে প্রশ্ন করা হলে, দাপুটে নেতা বলেন, ‘‘জেলে কন্টিনিউ কেউ থাকে না, ছাড়া পায়। নিশ্চয়ই ছাড়া পাব, ছাড়া পেলে যাব। এ আর বলার কী আছে।’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>