নিজস্ব সংবাদদাতা, বোলপুর: বিশ্বভারতীতে তৃণমূলে স্লোগান৷ অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরে স্লোগান তৃণমূলের৷ অমিত শাহ বিশ্বভারতীতে আসার পর বিশ্বভারতীতে নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে অভিযোগ তুলে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিশ্বভারতীতে উঠবে তৃণমূলের স্লোগান৷ হলও তেমনটাই৷ বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডলকে কেন্দ্র করে বিশ্বভারতীতে উঠল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের স্লোগান৷ এদিন অনুব্রত বিশ্বভারতীতে যান একটি বিশেষ কাজে৷ রাজ্য সরকারের ফেরত নেওয়া রাস্তা জেলা প্রশাসনের উদ্বোধনের পর আরও একবার দলীয়ভাবে উদ্বোধন করলেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
এই রাস্তায় একটি ইতিহাস আছে৷ ২৮ ডিসেম্বর ২০২০। বোলপুর গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ২০১৭ সালে বিশ্বভারতীর তৎকালীন উপাচার্য স্বপন দত্তের মাধ্যমে বিশ্বভারতীর উপাসনা মন্দির থেকে কালী সয়ের মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ ৪ কিলোমিটারের যে রাস্তা দেওয়া হয়েছিল, সেই রাস্তা পুনরায় রাজ্য সরকার ফেরত নিয়ে নেয়। আশ্রমিকদের একাংশ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে আবেদন করেছিলেন, এই রাস্তা দিয়ে তাঁদের যাতায়াতে অসুবিধার কথা। সেই শুনেই মুখ্যমন্ত্রী তড়িঘড়ি রাস্তা ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য উপযুক্ত নথি সই করে আসার কথা বলেন। তবে চলতি ১ জানুয়ারি রাজ্যের ফেরত নেওয়া শান্তিনিকেতনের দীর্ঘ ৪ কিলোমিটার রাস্তা আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর ও ঠাকুর পরিবারের সদস্যের হাত দিয়ে উদ্বোধন হয়৷ এরপর ফের রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য উদ্যত হয় বিশ্বভারতী৷ তবে জেলাশাসক গিয়ে সেই কাজ থামিয়ে দেয়৷ এরপর বৃহস্পতিবার সেই রাস্তাটি পুনরায় উদ্বোধন করলেন অনুব্রত মণ্ডল। এদিন তিনি বলেন, এদিকের মানুষের যেতে আসতে অনেক অসুবিধা হয় কাল পরশুর মধ্যেই রাস্তাটির টেন্ডার হয়ে যাবে৷’
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের রাস্তা যদি রাজ্য সরকারই নেয়, তাহলে সেখানে কেন দেখা গেল তৃণমূলের দলীয় পতাকা? আর যদি এই রাস্তা তৃণমূল দখল করে থাকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন প্রশাসনের বেশ কিছু কর্তা অনুষ্ঠানে এলেন? উঠছে প্রশ্ন৷ তবে যাই হোক না কেন অনুব্রত যে নিজের দেওয়া হুঁশিয়ারি অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে দিলেন এদিন সেই ছবি স্পষ্ট হল রাজ্যের মানুষের কাছে৷