‘কাছে পেলে তোমার চুল কামিয়ে দেব’, এবার অনুব্রতর নিশানায় রাহুল

এমনিতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জনপ্রিয় মুখ। বঙ্গ রাজনীতিতে তাঁর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে জল্পনা সর্বদা তুঙ্গে। তবে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের পরও তিনি অক্লেশে বলতে পারেন ‘স্লিপ অফ টাং’ হয়ে গেছে। সেই অনুব্রত মণ্ডল এবার আক্রমণ শানালেন রাহুল সিনহার উদ্দেশ্যে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য করায় বিজেপি নেতাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘যদি তোমাকে কোনওদিন কাছে পাই, তোমার একদিকের চুল কামিয়ে দেব৷’ এছাড়াও রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লক থেকে রাহুল সিনহার ভাষাজ্ঞান নিয়েও বুধবার প্রশ্ন তোলেন।

বীরভূম: এমনিতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জনপ্রিয় মুখ। বঙ্গ রাজনীতিতে তাঁর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে জল্পনা সর্বদা তুঙ্গে। তবে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের পরও তিনি অক্লেশে বলতে পারেন ‘স্লিপ অফ টাং’ হয়ে গেছে। সেই অনুব্রত মণ্ডল এবার আক্রমণ শানালেন রাহুল সিনহার উদ্দেশ্যে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য করায় বিজেপি নেতাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘যদি তোমাকে কোনওদিন কাছে পাই, তোমার একদিকের চুল কামিয়ে দেব৷’ এছাড়াও রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লক থেকে রাহুল সিনহার ভাষাজ্ঞান নিয়েও বুধবার প্রশ্ন তোলেন।

২১ জুলাই শহিদ স্মরণের ভার্চুয়াল সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি-কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন। তারই প্রতিক্রিয়ায় ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করে বসেন রাহুল সিনহা। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তরজা। তৃণমূল শিবিরে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে রাজ্যের একাধিক প্রান্তে। এবার রাহুল সিনহার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল।

বুধবার রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকে হাসন বিধানসভার কর্মী সম্মেলন থেকে বিজেপি নেতাকে বেনজির আক্রমণ করেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি। কোনওদিন কাছে পেলে রাহুল সিনহার মাথার একদিকের চুল কামিয়ে দেবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, এই ধরনের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য করার জবাব বিজেপি নেতা পাবেন বলেও জানান তিনি। রাজ্যের মানুষ মেনে নেবে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে কথা রাহুল সিনহা বলেছেন, তা সমাজের চোখে বলা যায় না। ওই ধরনের কথা তৃণমূলের রুচিতে আসে না, এমনই মন্তব্য করেন তিনি।

সূত্রের খবর, এদিন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির নিশানায় ছিল বিজেপি-ও। গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিজেপি-র লজ্জা লাগে না? তাদের কি ভাষাজ্ঞান নেই? তাদের ঘরে কি মা-বোন নাই?  এছাড়াও যাঁরা বিজেপি করেন, তাঁদের রুচিজ্ঞান নিয়েও অনুব্রত প্রশ্ন তুলেছেন এদিন।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 2 =