কলকাতা: গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের নিরাপত্তা দিন দিন বাড়াচ্ছে সিবিআই। একইসঙ্গে বাড়ছে তাঁকে নিয়ে যাতায়াতের করা কনভয়ের সংখ্যাও৷ এর অন্যতম কারণ যেমন নিরাপত্তা, তেমনই রয়েছে অনুব্রতের শারীরিক অসুস্থতা।
আরও পড়ুন- পার্থের বিধায়ক অ্যাকাউন্ট থেকে আর দলীয় তহবিলে টাকা নয়, সিদ্ধান্ত তৃণমূলের
গত ১১ অগাস্ট গরু পাচার মামলায় বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বাড়ি থেকে প্রথমে আসানসোলের ইএসএল গেস্ট হাউস, তারপর আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে নিয়ে আসা হয় কেষ্টকে৷ সেদিন একটি সাদা সুইফট ডিজায়ার গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি। তাঁর সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন দু’জন সিবিআই আধিকারিক। তাঁর নিরাপত্তায় দু’টি পৃথক গাড়িতে ছিলেন জনা ছয়েক সিআরপিএফ জওয়ান৷ সে দিন আদালত থেকে কলকাতায় নিয়ে আসার পথে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছিল সিবিআই আধিকারিকদের। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে একাধিক বার যানজটে আটকায় কনভয়। আসানসোল থেকে কলকাতায় পৌঁছতে সময় লেগেছিল প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা৷
বুধবার সেই কেষ্টর কনভয়ের আকার ছিল আরও বড়। তাঁকে নিয়ে আসা হয় আরও একটু বেশি আরামদায়ক এমজি হেক্টর গাড়িতে। সঙ্গে সাতটি গাড়িতে প্রায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। আরও দুটি গাড়িতে সিবিআই আধিকারিকরা। এর অন্যতম কারণ তাঁর শারীরিক সমস্যা৷ স্থূলকায় অনুব্রতের হাঁটা-চলা, বসায় সমস্যা রয়েছে। আরও নানা অসুস্থতা রয়েছে। অর্শ, ফিসচুলার সমস্যার জন্য বরাবরই নরম গদিওয়ালা সিটে চাপতেন তিনি। সিবিআই-ও তাঁর শারীরিক সমস্যার কথা মাথায় রেখে আরামদায়ক গাড়ির ব্যবস্থা করেছে। শুধু তাই নয়, অনুব্রতর যে দাপট রয়েছে, তাঁকে গ্রেফতারে পর যে ভাবে স্লোগান-সাউটিং হয়েছে, তা দেখার পর বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করেছে সিবিআই৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>