রামপুরহাট: তৃণমূল উপপ্রধানের খুনের ঘটনায় উত্তাল বীরভূমের বগটুই গ্রাম৷ একের পর এক বাড়িতে অগ্নসংযোগ৷ ঝলসে মৃত্যু হল ১০ জনের৷ তবে এই ঘটনার নেপথ্যে শর্ট সার্কিট রয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের৷ তিনি বলেন, আমি যতদূর জানি শর্ট সার্কিট থেকে টিভি ফেটে বাড়িতে আগুন লাগে। সেখান থেকেই একাধিক বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে৷
আরও পড়ুন- তৃণমূল নেতা খুনে অগ্নিগর্ভ রামপুরহাট, পর পর বাড়িতে আগুন, ১০ জনের ঝলসানো দেহ উদ্ধার
অনুব্রত মণ্ডলের কথায়, ‘‘আমি সকালে খবর পেলাম। একটি বাড়িতেই সাত জনের মৃত্যু হয়েছে৷ আগে পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। আমি তো ওখানে ছিলাম না। আমি সকালেই খবর পেলাম। ’’ তবে তৃণমূল নেতা খুনের সঙ্গে এর যোগ থাকতে পারে বলেও মনে করছেন অনুব্রত। তাঁর কথায়, ‘‘শুনেছি শর্ট সার্কিট থেকে টিভি ফেটে যায়। সেখান থেকেই বাড়িতে আগুন ধরে। আমি সকাল ৮টায় খবর পেয়েছি৷ তবে শর্ট সার্কিট হয়েছে কি না, পুলিশ আগে দেখে নিক৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তিন, চারটি বাড়িতে আগুন লেগেছিল। সঙ্গে সঙ্গে দমকল গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পুলিশ পিকেটিং রয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।’’
সোমবার রামপুরহাটের বকটুই গ্রামে বোমা হামলায় মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের৷ তিনি রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন। তিনি ছিলেন বকটুই গ্রামের৷ গতকাল গ্রামে জাতীয় সড়কের পাশে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন ভাদু। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে এক দল দুষ্কৃতী। ঘটনায় গুরুতর জখম হন ভাদু৷ রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ভাদুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এর পরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বকটুই৷ পর পর দশটি বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ গোটা গ্রাম ঘিরে রেখেছে পুলিশ৷ খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ক্যানমেরার ফুটেজ৷ এই ঘটনায় এখও পর্যন্ত আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>