চোখের ‘আড়ালে’ থাকা অনুব্রত-কন্যার ‘অজানা’ কাহিনী শুনে হতবাক নিচুপট্টির বাসিন্দারা!

চোখের ‘আড়ালে’ থাকা অনুব্রত-কন্যার ‘অজানা’ কাহিনী শুনে হতবাক নিচুপট্টির বাসিন্দারা!

কলকাতা: তিনি বীরভূমের ‘মুকুটহীন সম্রাট’৷ খুব অল্প বয়সেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি৷ বর্তমানে তিনি বীরভূমে শাসক দলের সভাপতি৷ জেলা রাজনীতিতে তাঁর দাপটের ছাপ স্পষ্ট৷ কিন্তু, এহেন দোর্দণ্ডপ্রতপ অনুব্রত মণ্ডল বরাবরই রাজনীতি থেকে সরিয়ে রেখেছেন তাঁর একমাত্র মেয়ে সুকন্যাকে৷ রাজনীতির সঙ্গে তাঁর যোগ না থাকলেও, গরু পাচারকাণ্ডের সূত্র ধরে সিবিআই পৌঁছে গিয়েছে তাঁর চৌকাঠে৷ এরই মধ্যে জানা গেল তিনি প্রাথমিক স্কুলের দিদিমণি৷ সেখানেও আবার অনিয়মের নালিশ৷ 

আরও পড়ুন- জোরালো নিম্নচাপ, শুক্রবার থেকেই ভারী বর্ষণ কলকাতাসহ ১০ জেলায়

অনুব্রত বরাবরই তাঁর উষ্ণ উবাচের জন্য ‘বিখ্যাত’৷ ভোটের আগে তাঁর এক একটি উক্তি গরম করেছে রাজ্য রাজনীতি৷ কিন্তু, কখনই কোনও সভা বা মিটিং-মিছিলে বাবার সঙ্গে দেখা যায়নি সুকন্যাকে৷ বলা ভালো বেশ সচেতন ভাবেই রাজনীতি থেকে মেয়েকে সরিয়ে রেখেছিলেন কেষ্ট৷ তবে করোনাকালে তাঁকে দেখা গিয়েছিল বাবার সঙ্গে গরিব মানুষদের চাল-ডাল বিলি করতে৷ ব্যস, ততটুকুই৷ তিনি চাকরি পেয়েছিলেন প্রাথমিক স্কুলে৷ অথচ বাড়ি থেকে মাত্র ২০০-৩০০ মিটার দূরের সেই স্কুলে একদিনের জন্যেও তাঁর টিকি মেলেনি৷ 

অনুব্রতর এক অনুগামীর কথায়, জেলা সভাপতির মেয়ে হওয়ার সুকন্যার একটা প্রভাব ছিলই৷ সাহস করে কেউ সামনে কথা বলতেন না৷ তবে বাবা-মেয়ের সম্পর্ক ছিল একেবারে বন্ধুর মতো৷ পাড়ায় কোনও দিনই সে ভাবে সুকন্যাকে দেখা যেত না৷ স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনিই ছিলেন অনুব্রতর একমাত্র সঙ্গী৷ মেয়েকে নিয়ে তাঁর একটাই দুঃখ, বিশ্বভারতীতে ভর্তি করতে না পারাটা৷ তবে মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতায় মেয়েকে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করতে পেরেছিলেন কেষ্টদা৷ সে কথা স্বীকারও করেন৷ 

এ হেন সুকন্যা একাধারে স্কুল শিক্ষিকা, অন্যদিকে চালকল সহ একাধিক সংস্থার ডিরেক্টর জানার পর অনেকেই স্তম্ভিত৷ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও সুকন্যা জানিয়েছিলেন তিনি ‘ভোলেবোম’ রাইস মিলের সঙ্গে যুক্ত৷ তবে ওই অ্যাকাউন্ট সুকন্যার কি না, তা নিশ্চিত নয়। এ ছাড়াও তাঁর নামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জমিজমা, অঢেল সম্পত্তি৷ এমনটাই সিবিআইয় সূত্রে দাবি। কার্যত চোখের ‘আড়ালে’ থাকা মেয়ের অজানা কিস্সা জেনে অবাক বোলপুরের নিচুপট্টির বাসিন্দারা। তবে এ নিয়ে মুখে কুলুপ সকলেরই।