আসানসোল: গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই-এর বিশেষ আদালত৷ বুধবার বিকেল থেকেই তাঁর ঠিকানা আসানসোল জেল৷ বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য সংশোধানগার থেকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল অনুব্রতকে। নানা শারীরিক সমস্যা রয়েছে তাঁর৷ বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির শারীরিক পরীক্ষার জন্য আগে থেকেই হাসপাতালে উপস্থিত হন একাধিক চিকিৎসক৷
আরও পড়ুন- গরু পাচার কাণ্ডের টাকা কোথায়? জানতে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে চায় ED
প্রতিদিন ৩৭টি ওষুধ খেতে হয় তাঁকে৷ রাতে ঘুমানোর আগে বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে নেবুলাইজার এবং অক্সিজেন মাস্ক দিতেই হয়৷ যে কোনও সময় তাঁর ইনহেলার ও অক্সিজেন মাস্কের প্রয়োজন পড়ে। তাই অনুব্রতর চিকিৎসার জন্য যা যা প্রয়োজন, তার যথাযথ ব্যবস্থা যাতে করা হয়, তা দেখার জন্য সংশোধনাগারের সুপারিন্টেন্ডেন্টকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। বুধবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক অনুব্রতকে জেলে সব রকম ওষুধ এবং শ্বাসকষ্ট প্রশমনের যন্ত্র নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন। সেইসঙ্গে ৪৮ ঘণ্টা অন্তর তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করানোর নির্দেশও দেন তিনি। আদলতের নির্দেশ মেনেই, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তৃণমূলের এই দাপুটে নেতাকে। সেখানে নাক-কান-গলা, হাড়, মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ এবং শল্যচিকিৎসকরা তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর জন্য একটি শয্যাও প্রস্তুত রাখা আছে। অনুব্রত আসার আগেই গোটা হাসপাতাল চত্বর কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে ফেলা হয়। উপস্থিত ছিলেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস-সহ অন্যান্য কর্মীরা৷
আসানসোল সংশোধনাগার থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। গোটা রাস্তা জুড়েই ছিল পুলিশি তৎপরতা৷ আগামী ১৪ দিন জেল হেফাজতেই থাকবেন কেষ্ট৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>