নাটকীয় বাঁক, CBI দফতর নয়, সোজা এসএসকেএম-এ পৌঁছলেন অনুব্রত

নাটকীয় বাঁক, CBI দফতর নয়, সোজা এসএসকেএম-এ পৌঁছলেন অনুব্রত

কলকাতা: গরু পাচার মামলার বুধবার নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছিল তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে৷ বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ চিনার পার্কে নিজের বাড়ি থেকে বেরন তিনি৷ ধরে নেওয়া হয়েছিল নিজাম প্যালেসে যাচ্ছেন তৃণমূলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সম্পূর্ণ তৈরি ছিল সিবিআই অফিসাররাও৷ জানা যায়, অ্যাডিশনাল এসপি’র নেতৃত্বে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ৫ সদস্যের দল৷ দলে রয়েছেন গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তকারী অফিসাররা৷ সেই সঙ্গে বাড়ায়ি দেওয়া হয় নিজাম প্যালেসের নিরাপত্তা৷ মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ টানটান উত্তেজনার পর নাটকীয় বাঁক নেয় অনুব্রত গাড়ি৷ সকলকে চমকে মা ফ্লাইওভার পেরিয়ে তিনি সোজা চলে যান এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে৷ 

আরও পড়ুন- কাঁথি মহকুমা হাসপাতলে বাংলাদেশের ওষুধ! আতঙ্কে কাঁপছেন রোগীরা

গাড়ি থেকে নামার পর অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়া হয় উডবার্ন ব্লকের তিনতলার লবিতে৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্যেই লবিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ জানা গিয়েছে পেটে এবং বুকেও কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ অনুব্রতর অসুস্থতার কথা মাথায় রেখে আগে ভাগেই চিকিৎসকদের বিশেষ দল প্রস্তুত রাখা হয়েছিল নিজাম প্যালেসে। অনুব্রত না পৌঁছলেও নিজাম প্যালেসে পৌঁছেছেন তাঁর আইনজীবীরা। তবে হাসপাতাল থেকে অনুব্রত সিবিআইয়ের দফতরে যাবেন কি না তা স্পষ্ট নয়। আপাতত উডবার্ন ব্লকের  সাড়ে বারো নম্বর কেবিনে রয়েছেন তৃণমূল নেতা। তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। 

এর আগে চারবার তলব করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে৷ প্রতিবারই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়ান৷ পঞ্চমবারের নোটিস পাওয়ার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বোলপুর থেকে চিনার পার্কের বাড়িতে এসে পৌঁছন৷ এদিন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার পর বেড়িয়ে যান তিনি৷ এর পরেই মনে করা হয়েছিল তিনি নিজাম প্যালেসেই যাচ্ছেন৷ গরু পাচারকাণ্ডে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে অনুব্রত বিরুদ্ধে৷ গরু পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগও রয়েছে৷ তৃণমূল সভাপতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই প্রশ্নমালাও তৈরি করে রেখেছিল সিবিআই আধিকারিকরা৷ 

এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সঞ্জীবকুমার দাঁ বলেন, “সিবিআই-এর সঙ্গে দেখা করতেই দাদা কলকাতায় এসেছেন৷ কিন্তু আজ সকাল থেকে হঠাৎ করেই তাঁর বুকে ব্যথা শুরু হয় তাঁর। সে জন্যেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দাদা সিবিআইকে সব রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত। তাঁর অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই।” অনুব্রতর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সিবিআইকে জানাবেন বলেও জানান তাঁর আইনজীবী।