বোলপুর: তিনি দোর্দন্ড প্রতাপ তৃণমূল নেতা৷ তাঁর এক নির্দেশে বাঘা-গোরুতে এক ঘাটে জল খেতে পারে এখনও৷ পুলিশের গাড়িতে বোম মারা থেকে গুরু বাতাসা নকুলদানার দাওয়াই দিয়ে থাকেন তিনি৷ প্রকাশ্যে মঞ্চ থেকে হাত-পা গুড়িয়ে দেওয়াও নির্দেশ দিতে দেখা যায় তাঁকে৷ এহেন তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল কিনা, কান্নায় ভেঙে পড়লেন? হ্যাঁ, প্রিয়জনের জন্য তিনিও কাঁদেন৷ ভেঙে পড়েন আবেগে৷
কিন্তু, কেন হঠাৎ কাঁদলেন তৃণমূলের দোর্দন্ড প্রতাপ নেতা অনুব্রত তথা বীরভূমের প্রিয় কেষ্ট? জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন কয়েক বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন তাঁর ‘অর্ধেক আকাশ’ স্ত্রী৷ দীর্ঘ দিন ধরে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী ছবিদেবীর৷ আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়৷ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর৷ মুম্বইয়ে চিকিৎসার পর কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে দীর্ঘ দিন ধরে চিকিৎসা চলছিল ছবিদেবীর৷ নিয়মিত বীরভূম থেকে কলকাতায় স্ত্রীকে দেখতে আসতেন অনুব্রত৷ মাধে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর ছবিদেবীকে বোলপুরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ চিকিৎসা শুরু হয় কলকাতায়৷ আজ সকালে ছবি মণ্ডলের মৃত্যু হয়৷ বয়স হয়েছিল ৬০ বছর৷
গত বছর লোকসভা নির্বাচনের সময়ে মায়ের মৃত্যতে ভেঙে পড়েন অনুব্রত৷ মা পুষ্পরাণিদেবীর মৃত্যু পর পারলৌকিক ক্রিয়া শেষ করে নির্বাচনের ময়দানে নামেন অনুব্রত৷ এক বছরের মধ্যে স্ত্রী ছবিদেবীর মৃত্যুতে শোকাহত অনুব্রত৷ স্ত্রী শোকে ঘণিষ্ঠ মহলেও আবেগ ধরে রাখতে পারেননি অনুব্রত৷ কেঁদেও ফেলেন৷ জানা গিয়েছে, আজ ছবিদেবীর শেষকৃত্য করা হবে পূর্ব বর্ধমানের উদ্ধারনপুর গঙ্গার ঘাটে৷ ছবিদেবীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে সুকন্যাও৷