রামপুরহাট: বগটুই-কাণ্ডে বাড়ল মৃতের সংখ্যা৷ গুরুতর আহত অবস্থায় রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি তিন জনের মধ্যে মৃত্যু হল নাজমা বিবির। রবিবার রাত থেকেই হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছিল, তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি সঙ্কটজনক। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল নাজমা বিবিকে৷ কিন্তু শেষ রক্ষা হল না৷ হাসপাতালেই মৃত্যু হল তাঁর৷ এ নিয়ে বগটুই-হত্যাকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৷
আরও পড়ুন- বনধের প্রথম দিনেই বিক্ষিপ্ত অশান্তি রাজ্যে, ব্যাহত ট্রেন চলাচল, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি
রামপুরহাটে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি শুনেছেন আহত এক মহিলার শরীরের ৬০ শতাংশের বেশি পুড়ে গিয়েছে। কিন্তু তাঁকে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। তাই বীরভূমেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পাঠানো হয়। রামপুরাট হাসপাতালে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখাও করেছিলেন মমতা৷ তবে সোমবার সকালেই শেষ হয় নাজমা বিবির লড়াই৷ অন্য দিকে, আজ নিয়ে তৃতীয় দিন ঘটনাস্থলে যাবে সিবিআই। মৃতের পরিজনদের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন তদন্তকারী অফিসাররা৷ জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে মিহিলাল শেখকে৷ রবিবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের দল। সেখান থেকে ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেন তাঁরা।
২১ তারিখ রাতে বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হওয়ার পরেই আগুন জ্বলে বগটুই গ্রামে৷ শেখলাল শেখের বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়, বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শেখলালের স্ত্রী নাজমা বিবি কোনও মতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। বোমার আঘাতে শরীরে ৬৫ শতাংশ পুড়ে যায়। কোনও ভাবে তাঁকে উদ্ধার করে রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া তাঁকে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>