কলকাতা: কলকাতায় ফের টিকটক স্টার তথা উঠতি মডেলের রহস্যমৃত্যু। পল্লবী-বিদিশা-মঞ্জুসার পর এবার আত্মঘাতী হলেন সরস্বতী দাস। ১৮ বছর বয়সী এই তরুণী শনিবার গভীর রাতে কসবায় নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অনুমান করা হচ্ছে সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন সরস্বতী। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কসবা থানার পুলিশ।
মৃতা স্বরস্বতীর পরিবার সূত্রে খবর, ছোটবেলাতেই বাবাকে হারিয়েছেন এই তরুণী। মা এবং মাসি মিলেই ধীরে ধীরে বড় করেন সরস্বতীকে। স্বরস্বতীর মা এবং মাসি দুজনেই আয়ার কাজ করেন। শনিবার রাতে তাঁরা নাইট ডিউটিতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন এই তরুণী। মধ্যরাতে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁর দিদা। তিনিই বটি দিয়ে গলার ফাঁস কেটে ওই তরুণীকে নীচে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরিবার সূত্রে খবর, ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণী মাধ্যমিকের পর আর পড়াশোনা করতে চাননি। সম্প্রতি তিনি টিকটকের হাত ধরে যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছিলেন এবং বেশ কয়েকটি ফটোশুটেরও কাজ শুরু করেছিলেন। এছাড়া তিনি একজন মেকআপ আর্টিস্ট বলেও জানা পরিবার সূত্রে খবর। কিন্তু এত কিছুর মাঝে কি এমন ঘটে গেল যে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন এই তরুণী সেই সম্পর্কে কিছুই বলতে পারছেন না মৃতের পরিবার।
স্বরস্বতীর পরিবারের দাবি, শনিবার সকাল পর্যন্ত যথেষ্ট হাসিখুশি ছিলেন এই তরুণী। সকলের সঙ্গে কথাও বলেন। এমনকি দূরের এক মাসির সঙ্গে ভিডিওকলে বেশ কিছুক্ষণ গল্প করেছিলেন সরস্বতী। এরপর কি এমন ঘটে গেল যে মাঝরাতে এমন অঘটন ঘটালেন এই তরুণী সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই বলতে পারছেন না তাঁর পরিবারের সদস্যরা। অন্যদিকে সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণেই সরস্বতী আত্মহত্যা করেছেন এমন দাবি পুলিশের তরফ থেকে করা হলেও তা মানতে নারাজ মৃতের পরিবার। ইতিমধ্যেই স্বরস্বতীর মা, মাসি জানিয়েছেন যে তাদের মেয়ের সঙ্গে কারো সম্পর্ক ছিল বলে কিছুই জানতেন না তারা।
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই পরপর চারজন উঠতি মডেল তথা অভিনেত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় কার্যত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কলকাতায়। একদিকে সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং অন্যদিকে পেশাদারী দুনিয়ার চাপ সামলাতে না পারায় একের পর এক মডেল-অভিনেত্রীর এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু রীতিমতো উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই মডেল তথা অভিনেত্রীদের মানসিক চাপ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন ওয়াকিবহাল মহল।