কলকাতা: রাজ্যে আরও একজন করোনা আক্রান্তের হদিস৷ এবার উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়া থানার রথতলা এলাকার বাসিন্দার দেহে মিলেছে করোনা৷ আজ ৫৭ বছরের ওই ব্যক্তির রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে নাইসেড সূত্রে খবর৷ তবে, ওই রোগীর বিদেশ কিংবা ভিন রাজ্য যাওয়ার কোনও তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি৷ তা সত্ত্বেও কীভাবে তিনি আক্রান্ত হলেন, তা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ৷ রিপোর্ট পজেটিভ আসায় আক্রান্তের পরিবারকে হোম কোয়ারন্ডেটন রাখা হয়েছে৷
নতুন করে আক্রান্তের খবর আসায় বাংলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭৷ যদিও সরকারি শেষ বুলেটিন অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ২২৷ বালিগঞ্জেরর বিলেত ফেরত করোনা আক্রান্তের বাবা ও স্কটল্যান্ড ফেরত আক্রান্ত হাবড়ার তরুণী করোনা মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছে৷ প্রথম আক্রান্ত আমলাপুত্রেরও ছুটি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে৷ হাওড়া ও এনআরএস হাসপাতালে দু’ই রোগিণীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি৷
জানা গিয়েছে, বেলঘরিয়া থানার রথতলা এলাকার বাসিন্দা বছর ৫৭-র ওই ব্যক্তি ওই এলাকায় এগ রোল ও চাওমিন বিক্রি করেন৷ সম্প্রতিকালে তিনি বিদেশ কিংবা ভিন রাজ্যে যানি বলে স্থানীয় সূত্রে খবর৷ বেশ কিছুদিন ধরেই ওই ব্যক্তি বেলঘরিয়ার জেনিথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷ গত ২৩ মার্চ শ্বাসকষ্ট ও জ্বরের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন রথতলার ওই বাসিন্দা৷ শ্বাসকষ্ট ও জ্বর হওয়ায় চিকিৎসকরা করোনা লক্ষণ বুঝে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করেন৷ নমুনা পাঠানো হয় বেলেঘাটা নাই৷ আগেই ওই ব্যক্তি কিডনির অসুখে ভুগছিলেন৷ নিয়মিত নিতেন ডায়ালাইসিস৷ ফলে, ছিলেন দুর্বল৷
সূত্রের খবর, আজ ওই ব্যক্তির লালারসের পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে৷ আপাতত তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে৷ রিপোর্ট পজিটিভ আশায় ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা পরিবারের সদস্যদের কথা বলেন৷ এমনকী, স্বাস্থ্য দপ্তরে আধিকারিকদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে বেলঘরিয়ার জেনিথ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ ওই রোগীকে ওই বেসরকারি হাসপাতালে আপাতত চিকিৎসা করানো হচ্ছে৷ রোগীর শারীরিক অবস্থা সংকটমুক্ত নয় বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা৷
রিপোর্ট পজেটিভ আসায় ওই ব্যক্তি কোথায় গিয়েছিলেন, কাদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল, কার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন সেই বিষয়ে তথ্য জানার চেষ্টা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ একইসঙ্গে পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারন্ডেটন রাখা হয়েছে৷