কলকাতা: এবার করোনা থাবা বসাল উত্তরবঙ্গে৷ উত্তরবঙ্গে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর হদিস মিলেছে বলে নাইসেড সূত্রে খবর৷ আর তার জেরে একদিনেই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ জনে৷
নাইসেড সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গ থেকে আসা নমুনা পজেটিভ মিলেছে৷ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে আসা রোগীর নমুনা দু’বার পরীক্ষা করার পর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে নাইসেড সূত্রে খবর৷ তৃতীয় করোনা আক্রান্ত রোগীর বিদেশ যাওয়ার কিংবা বিদেশ ফেরত কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার ইতিহাস রয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তরবঙ্গ থেকে একাধিক নমুনা পরীক্ষা করা হয় বেলেঘাটা নাইসেডে৷ কিন্তু, এই প্রথম উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর শরীরে মিলেছে করোনা৷ ফলাফল ইতিমধ্যেই নাইসেডের তরফে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠানো হয়েছে৷ ওই রোগীকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷
অন্যদিকে, আজ সন্ধ্যায় আরও দু’জনের শরীরে মিলল করোনা আক্রান্তের হদিস মেলে৷ করোনা আক্রান্ত ৭৫ বছরের বৃদ্ধা৷ আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ বছরের এক প্রৌঢ়৷ আপাতত তাঁদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে৷ দু’জনেই ছিলেন কোয়ারেন্টাইনে৷ এই দু’জনে করোনা আক্রান্ত কোনও রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন কি না, তা দেখা হচ্ছে৷ স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, আজ ৩৭ জনের নমুনা পাঠানো হয়৷ মধ্যে এই দু’জনের নমুনা পজেটিভ এসেছে৷ জানা গিয়েছে, এই দু’জন আগে থেকেই কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন৷ বিভিন্ন উপসর্গ থাকায় তাঁদের কোয়ারেন্টাইন থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়৷ পরীক্ষার জন্য আজ নাইসেডে পাঠানো হয় নমুনা৷ নমুনা পরীক্ষার পর ওই দু’জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে খবর৷ ফলাফল পজেটিভ আসায় তাঁদের কোয়ারেন্টাইন থেকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷
সূত্রের খবর, ওই দু’জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসে থাকতে পারেন৷ তবে তাঁরা এই রাজ্যের কোনও আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছিলেন, না কি ভিন রাজ্যের কোনও আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ নতুন দুই আক্রান্ত কাঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের সম্বন্ধে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে স্বাস্থ দপ্তর৷ তাঁদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে৷ এরা দু’জনের পূর্ব মেদিনীপুরের এগড়ার বাসিন্দা৷ যদিও এর আগেও নায়াবাদের এক বাসিন্দা এগড়ার বিয়ে বাড়ি থেকে করোনা আক্রান্ত হন৷ করোনা আক্রান্ত এক মার্কিন নিবাসীর সংস্পর্শে আসেন তিনি৷ তবে, নতুন করে আক্রান্ত হওয়া দু’জন ওই বিয়ে বাড়ি থেকে সংক্রামিত হয়েছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷
অন্যদিকে, আজ নতুন করে ১০ হাজারের বেশি মানুষকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে৷ যারা যারা আক্রান্ত সংস্পর্শে এসেছেন বা সন্দেহ করা হচ্ছে সেই সমস্ত মানুষদের অবিলম্বে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷