মৃত্যুর ৫ দিন পর পরিবার জানল, রোগীর দেহ পড়ে আছে লাশকাটা ঘরে

মৃত্যুর ৫ দিন পর পরিবার জানল, রোগীর দেহ পড়ে আছে লাশকাটা ঘরে

 
কলকাতা: ফের শিরোনামে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল৷ বাবার জন্য মোবাইল পৌঁছতে গিয়ে  জানতে পারেন, দেহ রয়েছে মর্গে। বাবার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই দেহ চান ছেলে। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, করোনা রিপোর্ট আসেনি৷ আসার পরেই দেহ তুলে দেওয়া হবে৷ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে এর আগেও অমানবিক গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে৷

হাওড়ার সলপের বাসিন্দা বৃদ্ধের ছেলে জানিয়েছেন, তাঁর বাবার ফুসফুসে ক্যানসার ছিল৷ বৃহস্পতিবার তাঁর সকালে হালকা জ্বর আসায় এসএসকেএমে পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হয়৷ সেখান থেকে পাঠানো হয় মেডিক্যাল কলেজে৷ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পর বৃদ্ধকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়৷ এরপর দু’বেলা হাসপাতালে ছেলে বাবার শরীরের খবর জানতে হাসপাতালে ফোন করেন৷ প্রতিক্ষেত্রে বলা হয় ভালো আছে৷ সোমবার হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, চিকিৎসক পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন৷

মঙ্গলবার সকালে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ছেলে আসেন চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে৷ ছেলে দাবি করেছেন, সেই সময় চিকিৎসক বলেছেন, রোগী ভালো আছে৷ নিশ্চিন্তে যাওয়ার আগে বাবাকে মোবাইল দিতে চান৷ ওয়ার্ডবয়ের হাত দিয়ে তিনি বাবার কাছে মোবাইল পাঠিয়ে দেন৷ এরপরেই ওই মোবাইল থেকে ফোন আসেন৷ প্রথমে তিনি ভাবেন, বাবা ফোন করেছেন৷ ফোন ধরতেই অবাক৷ সেই ওয়ার্ডবয় ফোন করেছে৷ আইসোলেশন ওয়ার্ডে তাঁর বাবা নেই৷ এরপরেই ছেলে ফিরে আসেন৷ ছেলে ও ওয়ার্ডবয় মিলে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন৷ কিন্তু পাওয়া যায় না৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই ওয়ার্ডমাস্টার জানান মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধের৷ তবে মঙ্গলবার নয়, যেদিন ভর্তি করা হয়েছিল সেদিনই মৃত্যু হয়েছে তাঁর৷

ভুক্তভোগী রোগীর পরিবার

হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত্যুর খবর দেওয়ার জন্য ফোন করা হয়েছিল৷ কিন্তু কেউ ফোন ধরেনি৷ দেহ চাওয়া হলে, হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, করোনার রিপোর্ট আসেনি৷ মৃত্যুর পাঁচ দিন পরেও করোনার রিপোর্ট এল না, সেই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বৃদ্ধের পরিবার৷ প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই বেলগাছিয়ার এক ব্যক্তির ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটেছিল মেডিক্যাল কলেজে। সেক্ষেত্রে রোগী সেরে উঠেছেন বলে বাড়ির লোকেদের ডেকে নিয়ে গিয়ে জানানো হয় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। দেহ রয়েছে মর্গে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *