TET: পর্ষদ এক নাবালককেও চাকরি দিয়েছে! নয়া অভিযোগে চাঞ্চল্য

TET: পর্ষদ এক নাবালককেও চাকরি দিয়েছে! নয়া অভিযোগে চাঞ্চল্য

কলকাতা: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে উত্তেজনা কোনও ভাবেই কমছে না। একেবারে যে তৃণমূল স্তর থেকে দুর্নীতি হয়েছে তা আংশিকভাবে বোঝাই যাচ্ছে। বেছে বেছে কিছু জনকে বেশ নম্বর দেওয়া নিয়ে তো প্রশ্ন ছিলই, এখন পর্ষদের বিরুদ্ধে আরও বড় অভিযোগ আনল মামলাকারীরা। তাদের দাবি, পর্ষদ এক নাবালককেও চাকরির পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিয়েছিল। শুধু তাই নয় তাঁকে পরে চাকরিও দেওয়া হয়! যদিও যে অকৃতকার্য ছিল।

আরও পড়ুন- কয়লা-কাণ্ডে অভিষেক-পত্নীকে তলব ED-র,সন্তান কোলে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির রুজিরা

মামলাকারীরা জানাচ্ছেন, এক নাবালককে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ চাকরির পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়েছিল। সে পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি অথচ তাঁকে ২০১৭ সালে প্রাথমিকের শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করার নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। এই মামলার আগামী শুনানিতে তাঁরা আদালতকে এই বিষয় সম্পর্কেই জানাতে চলেছে এবং পর্ষদের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে বলে খবর। মামলাকারীদের বক্তব্য, পূর্ব বর্ধমানের ১৭ বছরের এক ছেলে টেট পরীক্ষায় বসেছিল ২০১৪ সালে। পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেও ২০১৭ সালে তাকে চাকরির নিয়োগপত্র দেয় পর্ষদ। দাবি করা হচ্ছে, এইভাবে অনেক নাবালককেই চাকরির নিয়োগ পত্র দিয়েছে তারা।

এমনিতেই টেটে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতেই পর্ষদের আইনজীবীরা ‘বাক্যহারা’ হয়ে যান আজ। ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তুলে বলে, এটা একটা পাবলিক পরীক্ষা। সেখানে অনেকে পরীক্ষা দিয়েছেন। অনেকেই লিখিত ভাবে বোর্ডের কাছে অভিযোগ করেছে। ঠিক করা হল একটি প্রশ্ন ভুলের জন্য ১ নম্বর দেওয়া হবে। কিন্তু পাবলিক নোটিস কোথায়? আর বেছে বেছে কেন নম্বর দেবে বোর্ড? সবাইকে কেন দেবে না? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় আদালত। একই সঙ্গে প্রশ্ন, পর্ষদ কীসের ভিত্তিতে ২৭৩ জনকে বেছে নিয়েছিল যাদের অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হয়? বৈষম্য কেন করা হয়েছে তাই জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × four =