কলকাতা: ছাত্র নেতা আনিস খানের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এখন কার্যত উত্তাল গোটা রাজ্য। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই আঙুল তুলছেন বিরোধীরা এবং এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াও সরগরম। উত্তেজনা বাড়তে থাকায় এখনই পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সিট গঠন করা হয়েছে। কিন্তু আনিসের পরিবারকে নবান্নে ডাকার পরেও সেখানে যাচ্ছেন না ছাত্র নেতার বাবা এবং দাদা। বরং তারা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাদের কাছে এল ভালো হত।
আরও পড়ুন- ‘আইপ্যাকের জন্যই এত নির্দল, ছেলেটাকে পেলে পালিশ করে দিতাম’, তুলোধনা কল্যাণের
আসলে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর আনিসের দাদা সাবির খান বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ওপর তাদের ভরসা আছে কিন্তু পুলিশের ওপর নেই। পুলিশ যদি তদন্ত করতে চায় তো করুক, কিন্তু তারা সিবিআই তদন্ত চাইছেন। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে তারা প্রথমে নবান্নে যাবেন ভাবলেও এখন যেতে পারছেন না বলেই জানিয়েছেন। কারণ হিসেবে বলেছেন, তাঁর বাবার শরীর খারাপ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় তারা কেউ নবান্নে যেতে পারবেন না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যদি আসতে পারতেন তাদের কাছে তাহলে ভীষণ ভালো হত। গ্রামবাসীরা খুশি হত, আনিসের জন্য যারা আন্দোলন করছেন, তারাও খুশি হতেন। একই কথা বলছেন আনিসের বাবাও। তিনিও জানাচ্ছেন, নবান্নে যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন কিন্তু এখন তাঁর শারীরিক এবং মানসিক পরিস্থিতি ভালো নয়। তাই যেতে পারছেন না।
এদিকে আজই এই ইস্যুতে মুখ খুলে নবান্ন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সরকার এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করবে৷ এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ ডিজি’র সঙ্গে কথা হয়েছে৷ তাঁরা ইতিমধ্যেই ফরেন্সিক রিপোর্টের ব্যবস্থা করেছে৷ এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং কোনও মৃত্যুই আমাদের কাছে কাম্য নয়৷ তিনি আরও বলেন, আনিস তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন৷ অনেক সাহায্যও করেছিলেন৷ ওঁ তাদের ফেভারিট ছেলে ছিলেন৷ তাই অবশ্যই নিরপেক্ষ তদন্ত হবে৷ অভিযুক্ত শাস্তি পাবেই৷ এমনকি তিনি নিজেও যদি দোষী হন তাহলে তিনি শাস্তি পাবেন৷