চার্চায় আনিসের ‘সোশ্যাল লাইফ’! দেবাংশুর হাতেগরম প্রমাণে চমক

চার্চায় আনিসের ‘সোশ্যাল লাইফ’! দেবাংশুর হাতেগরম প্রমাণে চমক

কলকাতা:  ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুতে তোলপাড় রাজ্য৷ এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুধু তাই নয় মুখ্যমন্ত্রী নিজের মুখে জানিয়েছিলেন আনিস তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত এবং তিনি তাঁদের ফেভারিট ছেলে ছিলেন৷ এবার প্রকাশ্যে এল আনিসের ম্যাসেঞ্জার চ্যাট৷ যেখানে লুকিয়ে রয়েছে একাধিক চমক৷ সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এসে আনিসের ম্যাসেঞ্জার চ্যাট তুলে ধরেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য৷ যেখানে আনিসের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক স্পষ্ট৷ 

আরও পড়ুন- BJP এখন অতীত, পুরভোটের আগে তৃণমূলের হয়ে জোড় প্রচার শ্রাবন্তীর

ফেসবুক লাইভে এসে দেবাংশুর দাবি, “আনিস খান তৃণমূল ও তৃণমূলের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। আনিস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করতেন।” এরপরই দেবাংশু কিছু স্ক্রিন শট দেখান৷ যেখানে ছিল দেবাংশুর ‘এই বিজেপি আর নয়’ গানের কয়েকটি পংক্তি৷ তাতে লেখা, “আগামী দিনে কঠিন পথ, কে টানবে সুখের রথ। ভারতকে দেখাবে পথ, বাংলার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।” ছিল আরও একটি পংক্তি৷ “যুবক বাঁচে গতি ধাকায়, ছাত্র-যুব মমতাময়।” 

ওই পংক্তিগুলি লিখেছিলেন আনিস খান৷ দেবাংশুর দাবি, আনিস কোনও এক তৃণমূল নেতাকে মেসেঞ্জারে এই মেসেজগুলি পাঠিয়েছিলেন। আনিস যে দিনে এই মেসেজটা পাঠিয়েছিলেন, সেই দিনটিও উল্লেখ্যযোগ্য। দিনটি ছিল ২০২০ সালের ২৮ অগাস্ট। যে দিনটি পালিত হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবে। দেবাংশু এই চ্যাটগুলি তুলে ধরেই প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে, আনিস তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ছিলেন৷  

অনিস কাণ্ডে তুমুল উত্তেজনার মাঝেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  বলেছিলেন, ‘আনিস খান আমার ফেভারিট ছেলে।’ অবশ্য আমতার মানুষ বলেন, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আনিস নাকি এসএফআই সমর্থক ছিলেন৷ পরে আইএসএফ-ঘনিষ্ঠ হন। তেমনটাই দাবি আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকির৷ আনিসের মৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।

এরই মধ্যে পুলিশকে আনিসের ফোন দিতে অস্বীকার করেছে তাঁর পরিবার৷ কিন্তু, চর্চায় আনিসের সোশ্যাল মিডিয়া লাইফ৷ উলুবেড়িয়ার রাজনীতিতে নিজের পৃথক অস্তিত্ব গড়ে তুলছিলেন আনিস খান। ডান বাম কোনও পক্ষকেই রেয়াত করতেন না তিনি৷ আনিসের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে তার যথেষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে৷ তাঁর এই ডাকাবুকো মনোভাবেই কি চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন শাসক বিরোধী উভর পক্ষের? 

এক সময় উলুবেড়িয়া অঞ্চলে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের মুখও হয়ে উঠেছিলেন আনিস। ২০২০ সালে ১৫ অগাস্ট উমর খালিদের গ্রেফতারির প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় জ্বালামুখী পোস্ট করেন নিহত ছাত্রনেতা। এক সুরে বিঁধেন বাম-কংগ্রেস-তৃণমূলকে৷ শোনা যায়, আনিসের এই উত্থানকে ভালো চোখে দেখেননি স্থানীয় তৃণমূল৷ শাসকদলের সমালোচনা করতেও তিনি দ্বিধা করতেন না৷ আবার তাঁর নিশানা থেকে বাদ যায়নি বিজেপি’ও৷