‘দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না ২.০’, রুদ্রনীলকে কটাক্ষ অনিকেতের

‘দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না ২.০’, রুদ্রনীলকে কটাক্ষ অনিকেতের

 কলকাতা:  করোনা অতিমারীর কারণে সারা দেশ ডুবে গেছিল দীর্ঘ ৮ মাসের লকডাউনে৷ আর সাধরণ জনতার বিপর্যস্ত জনজীবনকে নিয়ে লেখা কবিতা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের৷ মধ্যবিত্ত ও সমাজতাত্ত্বিক বাঙালিকে নিয়ে লেখা রুদ্রনীলের ‘দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না’ যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছিল৷ আর এবার রুদ্রনীলের সুর টেনে তারই দেখানো পথে তাকেই বিঁধলেন চিত্র পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়।

মধ্যবিত্ত বাঙালির জীবন নিয়ে লেখা রুদ্রনীলের বিভিন্ন মহলেই বেশ সাড়া ফেলেছিল সেই সময়। এদিকে মমতা ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ বেশ কিছুদিন ধরেই শোনাচ্ছেন ‘বেসুরো’। বারবার তার তৃণমূল দলের নেতাদের থেকে পাওয়া আঘাতের কথা উঠে এসেছে তার কথায়-সাক্ষাৎকারে। আর তাই হয়তো বদলেছে তার প্রিয় রাজনৈতিক রঙের পছন্দ।

লকডাউনের সময় পোস্ট করা নিজের সেই মনোলগে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ লিখেছিলেন, “দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না। যে যা করে ভাই, সুবিধেটা নিয়ে যাই। দুম করে প্রকাশ্যে আসি না।” এছাড়াও তার সেই পোস্টে রাজনৈতিক রঙ চড়িয়েছিল বেশ কিছু কথা, “রাজনীতি-দলাদলি কিংবা সে কোলাকুলি, যে যা খুশি করে যাক, আমি টু শব্দটি করি না। বারান্দা থেকে আমি নামি না৷” তার এই লাইন নিয়ে সমাজের এক শ্রেণির ব্যক্তিবর্গকে আক্রমণ করার অভিযোগও উঠেছিল সেই সময়ে।

এবার রাজনৈতিক ময়দানে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের ‘বেসুরো’ হওয়াকে নিয়ে বেশ খানিকটা কটাক্ষের সুরেই তার সুর ও ছন্দে তাকে বিঁধলেন পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়। তিনি এমনই একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যাতে বলা হয়েছে, ‘দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না। তবে দুধ চাই, মধু চাই লালবাতি গাড়ি চাই, তিন লাখি পদ চাই সেসব তো ছাড়তেই পারি না৷”  এছাড়াও দল পরিবর্তনের বিষয়কে কটাক্ষ করে অনিকেত চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “তবে দেখেছি অনেক ভেবে, কী কোথায় পাওয়া যাবে, সে হিসেবে শেষে সে গোয়ালে কে কে যাবে, যদি লাভ থাকে সে হিসেবে, সে সুযোগ আমি কভু ছাড়ি না…..লালে লাল উড়িয়েছি নট বিপ্লবী, দিদির আঁচল ধরে বাগিয়েছে সবই! এবার গেরুয়া ধরে এমপি হবোই আমি, আহা! দেব হতে সাধ কী মোর জাগে না৷”

চিত্র পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার মাটি স্পর্শ করার সঙ্গে হাসি, লাইক ও কমেন্টের বন্যা বয়ে যায়। ভোটের আগে নেতা ও ঘনিষ্ঠদের ‘বেসুরো’ হওয়া যেমন অস্বস্তিতে ফেলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে সেরকম এরকম শৈল্পিক টিপ্পনিও যথেষ্ট বিব্রত করেছে তাদের। এসবের প্রভাব ভোটের ইভিএমে কতটা পড়ে সেটাই এখন দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − five =