সাংবাদিককে সপাটে চড়, তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের

কলকাতা: ফের সাংবাদিকদের আক্রমণ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগে ‘‌দু’‌পয়সার প্রেস’‌ বলে সাংবাদিকদের আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এবার এক সাংবাদিককে চড় মারার অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসকদলের বিধায়কের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে। এই সাংবাদিক থানায় ঘটনাটি নিয়ে অভিযোগে জানিয়েছেন। বলেছেন তাঁকে প্রকাশ্যে সপাটে চড় মারেন তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী। তবে বিধায়কের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

কলকাতা: ফের সাংবাদিকদের আক্রমণ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগে ‘‌দু’‌পয়সার প্রেস’‌ বলে সাংবাদিকদের আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এবার এক সাংবাদিককে চড় মারার অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসকদলের বিধায়কের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে। এই সাংবাদিক থানায় ঘটনাটি নিয়ে অভিযোগে জানিয়েছেন। বলেছেন তাঁকে প্রকাশ্যে সপাটে চড় মারেন তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী। তবে বিধায়কের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ময়নাগুড়ির জল্পেশ মন্দির এলাকায় একটি সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ওই সাংবাদিক। ওই অনুষ্ঠানেই দলের স্থানীয় নেতৃত্বে বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী। সেখানে তিনি দলের কোনও অনুষ্ঠানে বর্তমানে তাঁকে ডাকা হয় না বলে অভিযোগ তোলেন। সেই খবর প্রকাশিত হয় সংবাদমাধ্যমে। তারপর থেকেই ক্ষুব্ধ অনন্তদেব অধিকারী। তিনি জানতে পারেন সোমনাথ চক্রবর্তী নামে এক সাংবাদিক খবরটি করেছেন। অভিযোগ, একথা জানার পরই সোমনাথকে চড় মারেন ওই বিধায়ক।

ঘটনার পর মঙ্গলবার পুলিশে অভিযোগ করে জানান সোমনাথ চক্রবর্তী। জানান, ময়নাগুড়ি শহরের ফুটবল মাঠে জিমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে বিধায়ক অনন্তদেব চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধিরাও ছিলেন। সেখানেই সোমনাথবাবুকে ডেকে প্রথমে প্রকাশ্যে হুমকি ও পরে তাঁর গালে সপাটে চড় কষিয়ে দেন অনন্তদেব অধিকারী। তবে চড় মারার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক অনন্তদেব। তাঁর কথায়, সোমনাথ চক্রবর্তী তাঁকে নিয়ে মিথ্যা রটনা করেছেন। তাই তিনি সাংবাদিককে সেকথা বলেছেন। কিন্তু চড় মারেননি। এ ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − thirteen =