anamika
কলকাতা: অবশেষে চাকরির নিয়োগ পত্র হাতে পেলেন অনামিকা বিশ্বাস রায়। তবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ক্ষোভ থেকে পার পায়নি। কেন তাঁকে চাকরি দিতে দেরি হল, তা জানতে চেয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিবের কাছে হলফনামা চেয়েছেন তিনি। সচিবকে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে, চাকরির নিয়োগ পত্র দিতে এত সময় লাগল কেন। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার চাকরি পাওয়ার পর ববিতা চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে জানা যায়, ববিতার নিয়োগে পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে। তাঁর চাকরির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন অনামিকা বিশ্বাস। এর পরই ববিতার চাকরি বাতিল করেন বিচারপতি। তাঁর চাকরি দেওয়া হয় অনামিকাকে। কিন্তু এতদিনেও তাঁর নিয়োগ হয়নি। এই ইস্যুতে ক্ষুব্ধ বিচারপতি শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের কাছে রিপোর্ট তলব করেন। তবে তারপরই পদক্ষেপ নেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নিয়োগ পত্র পেয়ে যাবেন অনামিকা বলে জানানো হয়। নির্ধারিত সময়েই তা মান্যতা পেল।
গত ১৬ মে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ববিতা সরকারের চাকরি আর এক চাকরিপ্রার্থী অনামিকা রায়কে দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু এতদিনে সেই নির্দেশ পালন না হওয়ার পিছনে কারণ হিসেবে উঠে আসে পরিচয় সংক্রান্ত তথ্য পুলিশি যাচাই না হওয়া। এই যুক্তি শুনেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রশ্ন তোলেন, কেন তাঁর ভেরিফিকেশন আটকে থাকবে? উনি কি সন্ত্রাসবাদী?